স্টাফ রিপোর্টার: মোহালিতে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম টি-টোয়েন্টি দু’শো প্লাস রান তুলেও হেরে গিয়েছে ভারত। যার পর আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে রোহিত শর্মাদের প্রস্তুতি নিয়েই প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। পরিস্থিতি যা, তাতে নাগপুরে শুক্রবার অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ভারত দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি যুদ্ধে (India vs Australia) ভারত হেরে গেলে রোহিতদের অস্বস্তি তো বাড়বেই, একই সঙ্গে বিশ্বকাপের আগে টিমকে ফের কাঠগড়ায় উঠতে হবে। যে কারণে নাগপুরে কোনও ঝুঁকির রাস্তায় আর যাচ্ছে না ভারত। সব কিছু ঠিকঠাক চললে, নাগপুর যুদ্ধে ভারত নামাতে চলেছে জশপ্রীত বুমরাহকে।
ফিট হয়ে টিমের সঙ্গে যোগ দেওয়া সত্ত্বেও মোহালিতে ভারত খেলায়নি বুমরাহকে (Jasprit Bumrah)। যা নিয়ে প্রবল বিতর্কও হয়েছে। কারণ মোহালি টি-টোয়েন্টিতে ভারতকে প্রবল ভুগিয়েছে ডেথ ওভার বোলিং। বিশেষ করে ভুবনেশ্বর কুমার। ম্যাচের পর মোহালিতে ভারতীয় টিমের সেরা পারফর্মার হার্দিক পাণ্ডিয়া বলে যান যে, বুমরাহকে পর্যাপ্ত বিশ্রাম দেওয়া হচ্ছে, যথেষ্ট সময় দেওয়া হচ্ছে যাতে তিনি বিশ্বকাপে পুরনো ছন্দে ফিরতে পারেন। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার কাছে প্রথম ম্যাচ হেরে টিমের অবস্থা এতটাই বেগতিক যে, বুমরাহকে বিশ্রামের ভাবনা আপাতত বাদ দিতে হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: বোর্ড নির্বাচন ১৮ অক্টোবর, সেদিনই নির্ধারিত হবে সৌরভের ভবিষ্যৎ]
বৃহস্পতিবার ভারতীয় বোর্ডের কেউ কেউ বলেছেন যে, বুমরাহকে শুধুই বিশ্রাম দেওয়ার কারণে প্রথম ম্যাচে খেলানো হয়নি। তাঁর পিঠের চোট পুরোপুরি সারেনি বলে যে জল্পনা চলছে, সেটা মোটেও সত্যি নয়। এবং শুক্রবার দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে তিনি নামবেন। এটাও বলা হল যে, নেটে যথেষ্ট স্বচ্ছন্দ দেখাচ্ছে বুমরাহকে। পূর্ণ ছন্দেই তিনি বোলিং করছেন। এবং বুমরাহ শেষ পর্যন্ত খেললে বসবেন উমেশ যাদব।
এ দিন সাংবাদিক সম্মেলনে এসে ভারতীয় ব্যাটার সূর্যকুমার যাদব বলে যান যে, বুমরাহকে নিয়ে দুশ্চিন্তার কোনও কারণ নেই। গত ইংল্যান্ড সফরের শেষ থেকেই পিঠের চোটের কারণে খেলছেন না বুমরাহ। তিনি গত এশিয়া কাপেও খেলেননি। ভারতের এক নম্বর পেসারের ফিটনেস নিয়ে এ দিন সূর্যকে জিজ্ঞাসা করা হলে মুম্বইকর হাসতে হাসতে বলে দেন, “টিমের সবাই সুস্থ, সবাই ফিট এটুকু বলতে পারি। বুমরাহও ফিট। কোনও সমস্যা নেই ওর।”
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে বুমরাহীন ভারতীয় বোলিংকে যে রকম নখদন্তহীন দেখিয়েছে, সেটা নিয়েও জিজ্ঞাসা করা হয় সূর্যকে। ভারতীয় ব্যাটার অবশ্য বোলারদের সমর্থনই করে গেলেন। বললেন, “গত ম্যাচের পর আমাদের এটা নিয়ে বিশেষ কথা হয়নি। আর প্রথম ম্যাচটা বেশ লম্বা চলেছে। মাঠে শিশিরও পড়ছিল ভাল রকম। তা ছাড়া ওদের ব্যাটাররাও প্রবল আক্রমণাত্মক মেজাজে ব্যাট করছিল।” প্রশ্ন একটাই। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি হেরে গেলে এ সব অজুহাত চলবে তো?