সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইডি, সিবিআইয়ের মতো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে কাজে লাগিয়ে তৃণমূল নেতৃত্বকে হেনস্তা করা হচ্ছে। সুকৌশলে নির্বাচনী প্রচারে বাধা দেওয়া হচ্ছে। এই অভিযোগ তুলে লোকসভা ভোটের আগে শুক্রবার নির্বাচন কমিশনে তৃণমূলের পাঁচ প্রতিনিধি। ওই প্রতিনিধি দলে ছিলেন ডেরেক ও'ব্রায়েন, দোলা সেন, শশী পাঁজা, সাকেত গোখেল এবং সাগরিকা ঘোষ। এর পর কমিশনের বাইরে দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তৃণমূল নেতৃত্ব।
শশী পাঁজা বলেন, "নির্বাচন কমিশনে আমরা স্মারকলিপি জমা দিয়েছি। আগামী সোমবার আবার নির্বাচন কমিশন আমাদের সময় দিয়েছে। কমিশনের আধিকারিকদের সঙ্গে আমাদের দীর্ঘক্ষণ কথাবার্তা হয়েছে। যেভাবে হেমন্ত সোরেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাতে আমরা অত্যন্ত বিরক্ত। এখন আদর্শ আচরণবিধি লাগু হয়ে গিয়েছে। তা সত্ত্বেও দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমরা চাই নির্বাচন কমিশন হস্তক্ষেপ করুক। ওরা বাংলাকে টার্গেট করেছে। মহুয়া মৈত্র-সহ বাকি সব তৃণমূল প্রার্থী যাঁরা প্রচার করছেন, তাঁদের টার্গেট করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে কাজে লাগিয়ে বৈষম্যমূলক আচরণ করা হচ্ছে।"
[আরও পড়ুন: বাড়িতে ৩ সন্তান, স্বামী পরিযায়ী, প্রচারে ব্যস্ত বসিরহাটের রেখার সংসার সামলাচ্ছেন কে?]
উল্লেখ্য, ঘুষের বিনিময়ে প্রশ্ন মামলায় গত বছর সাংসদ পদ খারিজ হয়েছিল মহুয়া মৈত্রর। বিজেপি (BJP) সাংসদ নিশিকান্ত দুবের অভিযোগের ভিত্তিতে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁর সাংসদ পদ খারিজ করে এথিক্স কমিটি। আপাতত লোকপালের নির্দেশে ইডি এবং সিবিআই যৌথভাবে তদন্ত করছে তৃণমূল প্রার্থীর বিরুদ্ধে। এই সংক্রান্ত অভিযোগের ভিত্তিতেই ফেমা আইনে মহুয়াকে নোটিস দিয়েছে ইডি (ED)। বৃহস্পতিবার তাঁকে দিল্লিতে তলব করা হয়। যদিও তলবে সাড়া দেননি মহুয়া। শুধু তাই নয় কৃষ্ণনগর ও কলকাতা মিলিয়ে মহুয়ার চার ঠিকানায় তল্লাশিও চালায় সিবিআই। তা নিয়ে আগেই ক্ষোভপ্রকাশ করেছিলেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল প্রার্থী। এভাবে প্রচারে বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। এবার সেই একই অভিযোগে সরব তৃণমূলের পাঁচ প্রতিনিধি।