সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর্থিক সংকটে জর্জরিত পাকিস্তান। সরকারি কর্মীদের মাইনে দেওয়ারও অবস্থা নেই শাহবাজ সরকারের। আইএমএফ থেকে ঋণ নেওয়ার পরও ৬ মাস বেতন হয়নি পুলিশকর্মীদের। অথচ শাহবাজ সরকারের আতিথেয়তায় সেখানে ফুলেফেঁপে উঠছে সন্ত্রাসীরা। এমনই গুরুতর পরিস্থিতিতে পাক সরকারকে দুষলেন ৬ মাস ধরে বেতন না পাওয়া এক নিরাপত্তারক্ষী। তাঁর সেই ভিডিও ভাইরাল হতেই মুখ পুড়েছে পাকিস্তানের।
জানা গিয়েছে, খাইবার পাখতুনখোয়ার পর্যটন কেন্দ্রে নিযুক্ত এক পুলিশকর্মী ওই ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন। যেখানে তাঁকে বলতে শোনা যাচ্ছে, তিনি ৬ মাস ধরে কোনও বেতন পাননি। ওই অঞ্চলে তাঁর দেখাশোনা করার মতোও কেউ নেই। তাঁদের চাকরির মেয়াদবৃদ্ধিও করেনি সরকার। গুরুতর এই পরিস্থিতিতে লাগাতার কাজের চাপ ও অপমান অসহনীয় হয়ে উঠেছে। ওই যুবকের কথায়, 'এই মুহূর্তে আমি ডিউটিতে রয়েছি। এখানে পানীয় জলের মতো মৌলিক সুবিধাটুকুও নেই। বেতনের অভাবে পরিবারের খরচ টানা যাচ্ছে না। অনেকেই এখানে বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকেন। তাঁদের সেই বাড়ি ভাড়া দেওয়ার মতোও অবস্থা নেই। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বারবার বলা সত্ত্বেও কোনও কাজ হয়নি।'
ওই যুবকের কথায়, তাঁদের বিশেষ ইউনিট হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছিল খাইবার পাখতুনখোয়ার সোয়াট, অ্যাবোটাবাদ, নারান, কাঘান, কালাম, চিত্রাল-সহ নানান গুরুত্বপূর্ণ পর্যটনস্থলে। তবে বাস্তবে তাঁদের দিয়ে যানজট নিয়ন্ত্রণ, পর্যটকদের সাহায্য, কোনও রকম অশান্তি হলে তা সামাল দেওয়া এমনকী জরুরি পরিস্থিতিতে পুলিশের মতোই কাজ করতে হয়। কাজের চাপ প্রবল থাকলেও সরকার তাঁদের বেতন দিচ্ছে না। এই ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর শাহবাজ সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন নেটিজেনরা।
এদিকে অভিযোগ উঠছে, সরকারি কর্মীরা বেতন না পেলেও সন্ত্রাসীদের লাগাতার অর্থ যুগিয়ে চলেছে পাক সরকার। অপারেশন সিঁদুরে অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে যাওয়ার পর সেগুলির নয়া ঠিকানা হয়েছে এই খাইবার পাখতুনখোয়া। সেখানে জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ থেকে শুরু করে নিয়োগ-সহ যাবতীয় কাজে আর্থিক সাহায্য করে চলেছে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএস। এই অর্থের জোগান আসছে সরকারি কোষাগার থেকে। শুধু তাই নয়, এই অঞ্চলে বিদ্রোহীদের দমন করতে লস্কর, জইশের মতো জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করছে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী। তবে জঙ্গিদের জন্য আর্থিক বরাদ্দ ঠিকঠাক থাকলেও বেতন পাচ্ছেন না সরকারি কর্মীরা।
