সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশজুড়ে সংক্রমণ ক্রমশ বাড়ছে। করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১০০০ ছুঁইছুঁই।দেশজোড়া লকডাউন করেও সংক্রমণ সম্পূর্ণ রোখা যায়নি। আবার বিভিন্ন এলাকায় লকডাউন ভেঙে রাস্তায় বের হচ্ছেন বহু মানুষ। বিশেষ করে ঠিকা শ্রমিকরা নিজের রাজ্যে ফিরতে চাইছেন। ফলে বহু এলাকায় লকডাউন উপেক্ষা করে ভিড় জমছিল। এবার সেই অব্যবস্থা নিয়ে কড়া হল কেন্দ্র সরকার। নোটিশ জারি করে রাজ্য সরকারগুলিকে সতর্ক হওয়ার নির্দেশ দিল কেন্দ্র।রাজ্যের সীমানা সিল করে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে নির্দেশিকায়। পাশাপাশি, যে রাজ্যে যত ঠিকা শ্রমিক আটকে রয়েছেন, তাঁদের জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে সঠিক সময় তাঁদের পাওনা মেটানোর নির্দেশও দিল কেন্দ্র সরকার। পাশাপাশি লকডাউনে আটকে পড়া ঠিকা শ্রমিক বা পড়ুয়াদের হস্টেল বা কাজের জায়গা ছাড়ার নির্দেশ দিলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দিল মোদি সরকার। রাজনৈতিক মহলের দাবি, তীব্র বিতর্কের মুখে পড়ে কড়া পদক্ষেপ করল কেন্দ্র।
মঙ্গবার দেশজুড়ে লকডাউনের ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন চলবে। এর মাঝে ঘরের বাইরে পা রাখতে নিষেধ করেছে সরকার। কিন্তু কে শুনছে কার কথা! এদিকে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিভিন্ন রাজ্যে ঠিকা শ্রমিকের কাজে গিয়েছেন অনেকে। লকডাউনের ফলে তাঁরা কাজ হারিয়েছেন। কাজের জায়গায় তাঁদের রাখতে চাইছেন না মালিকরা। অগত্যা লকডাউনের মাঝেই রাজ্যে ফিরতে বাধ্য হচ্ছেন তাঁরা। এর ফলে একদিকে যেমন লকডাউন ভাঙা হচ্ছে। তেমনই রাজ্য সরকারগুলির উপর চাপ বাড়ছে।
[আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর আবেদনে সাড়া, তহবিলে একদিনের বেতন দিলেন আয়কর দপ্তরের কর্মীরা]
আবার ভিনরাজ্যে পড়তে গিয়ে হোস্টেলে আটকে রয়েছেন বহু পড়ুয়া। তাঁদেরও হোস্টেলে রাখতে চাইছেন না অনেকে। এ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানিয়ে কেন্দ্রকে চিঠি লিখেছিলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীও। এদিকে শুক্রবার থেকে দিল্লি-উত্তরপ্রদেশ সীমানায় ভীড় জমিয়েছিলেন বহু পরিযায়ী শ্রমিকরা। যা নিয়ে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এরপরই তড়িঘড়ি নির্দেশিকা জারি করল কেন্দ্র সরকার।
[আরও পড়ুন: করোনা মোকাবিলায় লকডাউনই একমাত্র পথ, দেশবাসীকে সুরক্ষিত রাখার অঙ্গীকার মোদির]
The post পরিযায়ী শ্রমিক বা পড়ুয়াদের ঘরছাড়া করলেই কড়া ব্যবস্থা, রাজ্যগুলিকে নির্দেশ কেন্দ্রের appeared first on Sangbad Pratidin.
