ঔরঙ্গজেবের সমাধি ধ্বংসের হুমকি রাজ ঠাকরের দলের! বাড়ানো হল নিরাপত্তা

04:50 PM May 18, 2022 |
Advertisement

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ধ্বংস করে দেওয়া হতে পারে মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের (Aurangzeb) সমাধি। এই আশঙ্কায় উদ্ধব ঠাকরের সরকার নিরাপত্তা জোরদার করল মহারাষ্ট্রে (Maharashtra) অবস্থিত সমাধিস্থলটির। মঙ্গলবার সেখানে ৬ জন পুলিশ কর্মীকে মোতায়েন করা হয়েছে। রাজ ঠাকরের দল এমএনএস তথা মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনার তরফে ওই হুমকি দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি ওই সমাধিস্থল দর্শনে আসেন AIMIM নেতা আসাদউদ্দিন ওয়েইসি। তারপর থেকেই বিতর্ক ঘনিয়ে উঠেছে।

Advertisement

ওয়েইসি ওই সমাধিস্থল দর্শন করার সময়ই শরদ পাওয়ার প্রশ্ন তুলেছিলেন, হঠাৎ কেন এখানে এলেন ওয়েইসি। এর ফলে কোনও বিতর্ক তৈরি হবে কি না, সেই আশঙ্কাও প্রকাশ করেন বর্ষীয়ান নেতা। তাঁর আশঙ্কা সত্য়ি করে এরপরই শিবসেনা ও রাজ ঠাকরের দলের তরফে সমালোচনা করা হয় ওয়েইসির মহারাষ্ট্র সফরের। এরপরই এমএনএস নেতা গজানন কালে টুইটারে ক্ষোভ উগরে দেন। প্রশ্ন তোলেন, শিবাজির ভূমিতে এক মুঘল শাসকের সমাধি কেন থাকবে। সেই সঙ্গে তিনি দাবি করেন, যদি ওই সমাধিস্থল ধ্বংস করে দেওয়া হয়, তালে ঔরঙ্গজেবের উত্তরাধিকারীরা এখানে এসে মাথা ঠুকতে পারবেন না। তিনি নাম না করলেও তাঁর খোঁচা থেকেই পরিষ্কার হয়ে যায়, ওয়েইসির কথাই বলছেন কালে।

[আরও পড়ুন: রাস্তায় ছুটছে ভলভো টোটো! রয়েছে টিভি-সিসিটিভি, চড়বেন নাকি?]

পাশাপাশি তিনি দাবি করেন, শিব সেনার প্রতিষ্ঠাতা বাল ঠাকরেও (Bal Thackeray) চাইতেন ওই সমাধিস্থল ধ্বংস করে দেওয়া হোক। এই প্রসঙ্গ তুলে এমএনএস নেতা শিব সেনা নেতাদের উদ্দেশে বলেন, ”আপনারা কি বালাসাহেবের কথা মানবেন না? অবশ্য আপনারা ঔরঙ্গাবাদের নাম বদলানোর দাবি থেকে উলটো পথে হাঁটা শুরু করেছেন।”

তাঁর এই টুইটের পরই আশঙ্কার মেঘ আরও ঘন হয়। কেন্দ্রীয় সংস্থা আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার দ্বারস্থ হন খুলতাবাদের বেশ কয়েকজন বাসিন্দা। প্রসঙ্গত, ওখানেই রয়েছে সমাধিস্থলটি। দাবি ওঠে, সমাধিস্থলে তালা ঝুলিয়ে রাখা হোক। কিন্তু সংস্থার ঔরঙ্গাবাদ অঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত সুপারিটেন্ডেন্ট মিলনকুমার চৌলে সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেন, ”যতক্ষণ না আমাদের কাছে লিখিত ভাবে আবেদন করা হচ্ছে আমরা কোনও পদক্ষেপ করব না।” তবে তাঁরা যে সমাধিস্থলে অতিরিক্ত চারজন কর্মীকে মোতায়েন করেছেন এবং পুলিশের কাছেও সাহায্য চেয়েছেন সেকথাও জানিয়েছেন তিনি।

[আরও পড়ুন: ‘আর কত খাবে?’, ঝাড়গ্রামের প্রশাসনিক বৈঠক থেকে জেলা পরিষদের সদস্যদের ভর্ৎসনা মমতার]

Advertisement