সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সিবিআইয়ের পর ইডির কোপ। এবার মদ কেলেঙ্কারির ঘটনায় দিল্লির প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়াকে (Manish Sisodia) গ্রেপ্তার করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। বৃহস্পতিবার তিহার জেলে গিয়ে ইডি (ED) আধিকারিকরা তাঁকে জেরা করেন। তারপরই মণীশ সিসোদিয়াকে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে একই মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার করেছিল সিবিআই (CBI)। সেই মামলায় তিনি এই মুহূর্তে তিহার জেলে বন্দি। উল্লেখ্য, শুক্রবারই মনীশ সিসোদিয়ার জামিনের শুনানি হওয়ার কথা। ঠিক তার আগের দিন ইডি তাঁকে গ্রেপ্তার করল। ফলে জোড়া গ্রেপ্তারিতে আরও বিপাকে পড়লেন দিল্লির প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী।
গত ২৬ ফেব্রুয়ারি মদ কেলেঙ্কারিতে (Liquor Policy Case) গ্রেপ্তার করা হয় দিল্লির প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রীকে। তারপর অবিজেপি প্রায় সব বিরোধী দলই তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছে। আম আদমি পার্টির দাবি ছিল, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জেরেই মণীশকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টেও জামিন পাননি তিনি। এরপর দিল্লি মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দেন দুর্নীতির অভিযোগে ধৃত আপ নেতা। এরপর আদালতের নির্দেশে হোলিও (Holi) গারদেই কাটাতে হয়েছে তাঁকে। ২০ মার্চ পর্যন্ত তিহার জেলে থাকতে হবে। তবে তার আগে ১০ মার্চ অর্থাৎ শুক্রবার তাঁর জামিনের আবেদন নিয়ে শুনানি হওয়ার কথা। তার আগের দিনই ইডি গ্রেপ্তার করল।
[আরও পড়ুন: আচমকা রাজভবনে মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্যপালের সঙ্গে আধঘণ্টা ধরে চলল রুদ্ধদ্বার বৈঠক]
গ্রেপ্তার হওয়ার পর একদফা সিবিআই হেফাজতে ছিলেন মণীশ। কিন্তু তারপর তাঁকে আর নিজেদের হেফাজতে চায়নি সিবিআই। তাঁর ঠাঁই হয় তিহার জেলে। চিকিৎসকদের দেওয়া ওষুধ জেলে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে আদালত। এছাড়াও চশমা, ডায়েরি, পেন ও ভগবত গীতা সঙ্গে রাখার অনুমতি পেয়েছেন তিনি। সূত্রের খবর, মণীশকে নাকি দাগি আসামিদের সঙ্গে রাখা হয়েছে। যদিও তাঁর আইনজীবী মেডিটেশন সেলে রাখার অনুরোধ করেছিলেন। এখন দেখার, ইডি তাঁর বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়।