সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এ রাজ্যে বিজয়া দশমীতে ‘অস্ত্র পুজন’ বা অস্ত্র নিয়ে মিছিল করা নিয়ে সংঘ পরিবারের সঙ্গে সরকারের সংঘাত চরমে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, অস্ত্র মিছিল বেআইনি। প্রশাসন এধরণের কোনও মিছিলের অনুমোদন দেবে না। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছছে, যে এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে কলকাতা হাই কোর্টকে। আদালত জানিয়েছে, বন্ধ প্রাঙ্গনে অস্ত্র পুজা করার জন্য প্রশাসন বা আদালতের অনুমতির প্রয়োজন নেই। তবে উলটো ছবি দেখা গেল উত্তরপ্রদেশে। বিজয়া দশমীর সকালে আগ্রার একটি মন্দিরে অস্ত্র নিয়ে উৎসবে মাতলেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও বজরং দলের সদস্যরা। চলল গুলিও।
[ছিঃ! এলফিনস্টোন স্টেশনে শ্লীলতাহানির হাত থেকে রেহাই পাননি মৃত্যুমুখীও]
ঐতিহাসিক আগ্রা ফোর্টকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের তকমা দিয়েছে ইউনেস্কো। সেই আগ্রা ফোর্টের কাছে রয়েছে একটি হনুমান মন্দির। শনিবার সকালে সেখানে জড়ো হয়েছিলেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও বজরং দলের কয়েকশো সমর্থক। বিজয়া দশমীর সকালে হল অস্ত্র উৎসব। মন্দির চত্বরে অস্ত্র নিয়ে রীতিমতো আস্ফালন করলেন তাঁরা। রিলভলভার ও রাইফেল থেকে গুলিও ছুড়তে দেখা গেল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও বজরং দলের সমর্থকদের। এমনকী, অস্ত্র নিয়ে সাংবাদিকদের সামনে ‘পোজ’ দিলেন তাঁরা। আগ্রা হনুমান মন্দিরে অস্ত্র উৎসবের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের আগ্রা ইউনিটের সভাপতি সুনীল পরাশর। তিনি বলেন, উৎসবের আনন্দে গুলি চালিয়েছেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও বজরং দলের কয়েকজন অতি উৎসাহী সমর্থক। তবে সেটা হয়েছে আগ্রা ফোর্ট থেকে অনেক দূরে হনুমান মন্দির চত্বরে।
[দেশপ্রেম শেখাবেন না, বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ উদ্ধব ঠাকরের]
শহরের একটি মন্দিরে ঢুকে গুলি চালিয়ে উৎসব পালন করলেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও বজরং দলের সমর্থকরা। কিন্তু, পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নিল না কেন? সূত্রের খবর, হনুমান মন্দিরে যে অস্ত্র নিয়ে উৎসব হবে, তা জানত পুলিশ। কিন্তু, মন্দিরের ঘেরা চত্বরে ঘটনাটি ঘটেছে। কেউ এ নিয়ে কোনও অভিযোগও করেনি। তাই অশান্তি এড়াতে আগ বাড়িয়ে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ।
দেখুন ভিডিও:
[জঙ্গি বা পাকিস্তান নয়, ভারতীয়দের মারতে রেলই যথেষ্ট: রাজ ঠাকরে]
The post মন্দিরে গুলি চালিয়ে অস্ত্র পূজা বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও বজরং দলের appeared first on Sangbad Pratidin.
