সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বারবার যে ‘ভিআইপি সংস্কৃতি’র অবসান ঘটানোর কথা বলেন, সেই ভিআইপি সংস্কৃতিরই ছায়া খাস রাজধানী দিল্লির এইমসে। দেশের সবচেয়ে ভরসাযোগ্য এবং নামী চিকিৎসাকেন্দ্রগুলির মধ্যে একটি দিল্লি এইমস (Delhi AIIMS)। সেখানেই নাকি চিকিৎসাক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা পাবেন সাংসদরা। এমনকী কেউ সাংসদের সুপারিশ নিয়ে গেলে তাঁকেও দেওয়া হবে বিশেষ সুবিধা। এমনই একটি চিঠি প্রকাশ্যে এসেছে। পরে অবশ্য বিতর্কের জেরে সেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করেছে দিল্লি এইমস কর্তৃপক্ষ।
বিতর্কের সূত্রপাত লোকসভার (Lok Sabha) সচিব ওয়াই এম কান্ডপালকে (YM Kandpal) লেখা দিল্লি এইমসের ডিরেক্টর এম শ্রীনিবাসের একটি চিঠি ঘিরে। যে চিঠিতে দিল্লি এইমসের তরফে সংসদ ভবনকে জানানো হয়েছে, সাংসদদের জন্য প্রটোকল মেনে এইমসে পরিষেবা দেওয়ার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আউটডোর, জরুরি বিভাগ বা ভরতির ক্ষেত্রে সাংসদরা বিশেষ ছাড় পাবেন। শুধু তাই নয়, সাংসদরা যাদের যাদের নাম সুপারিশ করবে, তাঁরাও এই বিশেষ সুবিধাগুলি পাবেন। তাঁদেরও পরিষেবা পাওয়ার জন্য লাইনে দাঁড়াতে হবে না।
[আরও পড়ুন: নজরে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ! আরএসএস প্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎ যোগী আদিত্যনাথের]
এইমস কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তে প্রবল বিতর্ক সৃষ্টি হয়। কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করেন চিকিৎসকরাই। যেখানে সাধারণ মানুষকে স্রেফ ওপিডিতে নাম লেখানোর জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়, সেখানে স্রেফ একজন সাংসদের সুপারিশপত্রে কেউ বিশেষ সুবিধা পাবেন! সেটা হতে পারে না বলে জানিয়ে দেন চিকিৎসকরা। প্রশ্ন উঠতে থাকে, এইমসের মতো চিকিৎসাক্ষেত্রে যেখানে কিনা দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ চিকিৎসার আশায় যান, সেখানে এই ভিআইপি কালচার কেন?
[আরও পড়ুন: হিন্দু ধর্মের ‘অন্ধকার’ দূর করতে মোদিকে ব্যবহার করছে RSS! কংগ্রেস নেতার মন্তব্যে বিতর্ক]
বিক্ষোভের জেরে শেষ পর্যন্ত ওই চিঠি প্রত্যাহার করে নিয়েছে এইমস কর্তৃপক্ষ। শুধু তাই নয়, এইমসের তরফে জানানো হয়েছে, ওই চিঠিটি কোনও নির্দেশিকা নয়। শুধুই নিয়ম হিসাবে আলোচনা করা হয়েছে। তাছাড়া দিল্লি এইমস যে ২৪ ঘণ্টাই সাধারণ মানুষকে পরিষেবা দেওয়ার জন্য তৈরি, সেটাও টুইট করে জানানো হয়েছে সংস্থার তরফে।