সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কোভিড মহামারীর পর থেকে দেশে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়েছে। অনেকেই মনে করছিলেন এর সঙ্গে তড়িঘড়ি তৈরি হওয়া কোভিডের ভ্যাকসিনের সম্পর্ক রয়েছে। যদিও এইমসের বিশেষজ্ঞরা জানিয়ে দিলেন, কম বয়সিদের হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু এবং কোভিডের টিকার মধ্যে কোনও সম্পর্ক নেই। যদিও গবেষণায় তরুণ প্রজন্মের হৃদরোগ আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে, কোনও কোনও ক্ষেত্রে মৃত্যুর কারণ অস্পষ্ট। আরও বিস্তারিত গবেষণার প্রয়োজন, বলছেন এইমসের বিশেষজ্ঞ দল।
এইমসের চিকিৎসক গবেষকদের বক্তব্য, ভারতে তরুণদের মধ্যে আকস্মিক মৃত্যুর প্রধান কারণ করোনারি আর্টারি ডিজিজ। তবে বেশ কিছু ক্ষেত্রের মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। গবেষকরা বলছেন, ওই সব মৃত্যুর কারণ জানতে আধুনিক ময়নাতদন্তের প্রয়োজন। পাশাপাশি তরুণ প্রজন্মের হৃদরোগ নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্য সচেতনতার কথাও বলা হয়েছে। গবেষণায় তরুণ প্রজন্মের হদরোগে আক্রান্ত হয়ে আকস্মিক মৃত্যুর জন্য কোভিড ভ্যাকসিনকে দায়ী করা হয়নি। দিল্লির এইমসের চিকিৎসক ও গবেষক ডা. সুধীর আরাভা বলেন, আশা করি মানুষের কাছেও বিষয়টি এবার বোধগম্য় হবে।
১৮-৪৫ বছরের নারী-পুরুষের আকস্মিক মৃত্যু সংক্রান্ত গবেষণায় খতিয়ে দেখা হয় ময়নাতদন্তের রিপোর্ট। বলা বাহুল্য বিষয়টি জনস্বাস্থ্যের জন্য উদ্বেগের। কারণ এই বয়সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা বিরল। ২২১৪টি ময়নাতদন্ত খতিয়ে দেখেন গবেষকরা। এর মধ্যে ১৮০টি আকস্মিক মৃত্যুর ঘটনা। অর্থাৎ ৮.১ শতাংশ। ৫৭.২ শতাংশ আকস্মিক মৃত্যু হয়েছে তরুণদের। অন্যদিকে ৪৬-৬৫ বছর বয়সিদের ক্ষেত্রে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে আকস্মিক মৃত্যুর ঘটনা ৪২.৮ শতাংশ।
গবেষণায় উঠে এসেছে তরুণদের আকস্মিক মৃত্যুর ঘটনায় হৃদরোগই কারণ দুই তৃতীয়াংশ ক্ষেত্রে। এক তৃতীয়াংশ ক্ষেত্রে অন্য কারণ। বেশি বয়সিদের হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ধরণ থেকে অনেকটাই আলাদা তরুণদের আক্রান্ত হওয়ার ধরণ। গবেষকরা কম বয়সি এবং বেশি বয়সি উভয় ক্ষেত্রে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার জন্য অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনকে দায়ী করেছেন। পাশাপাশি কোমর্বিডিটিও অন্যতম কারণ।
