সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মহারাষ্ট্রের (Maharastra) রাজনীতিতে নয়া মোড়! এনসিপির বিবদমান দুই গোষ্ঠীর মধ্য়ে অজিত পওয়ার শিবিরকেই আসল ন্যাশনাল কংগ্রেস পার্টি বলে ঘোষণা করল নির্বাচন কমিশন। দলের প্রকৃত মালিকানা কাদের হাতে, গত ৬ মাস ধরে তা নিয়ে চলছিল শুনানি। দশটির বেশি শুনানির পরে অবশেষে অজিতদের দিকে রায় দিল কমিশন। নিঃসন্দেহে এই ঘোষণায় বড়সড় অস্বস্তিতে পড়লেন ‘মারাঠা স্ট্রংম্যান’ শরদ পওয়ার।
এদিন নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দিয়েছে, এনসিপির নাম ও চিহ্ন ব্যবহারের অধিকার থাকবে অজিত পওয়ার শিবিরের হাতে। পাশাপাশি শরদ পওয়ারকে নতুন দলের নাম ঠিক করতে আগামিকাল বুধবার বিকেল তিনটের মধ্যে তিনটি নাম জমা দিতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এদিন। প্রসঙ্গত, শরদ পওয়ারের পক্ষে রয়েছেন ১২ জন বিধায়ক। অন্যদিকে অজিতের পক্ষে আছেন ৪১ জন বিধায়ক।
[আরও পড়ুন: রাহুলের ‘সংরক্ষণ টোপ’, ক্ষমতাই এলেই কোটার অধীনে ৫০ শতাংশেরও বেশি!]
স্বাভাবিক ভাবেই ঘোষণার পরে উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠেন অজিতের সমর্থকরা। এদিকে কমিশনের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন অজিত পওয়ার। শরদের ভাইপোকে বলতে শোনা যায়, ”আমাদের আইনজীবীদের বক্তব্য শোনার পরে নির্বাচন কমিশন আমাদের পক্ষেই রায় দিয়েছে। একে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি।'”
এদিকে এই সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এনসিপি নেতা অনিল দেশমুখ। শরদ-ঘনিষ্ঠ নেতা সংবাদ সংস্থা এএনআইকে জানাচ্ছেন, ”একই সিদ্ধান্ত কমিশন জানিয়েছিল শিব সেনার ক্ষেত্রেও। এনসিপি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন শরদ পওয়ার। তিনিই বছরের পর বছর দলের সভাপতি থেকেছেন। চাপে পড়ে নির্বাচন কমিশনের এহেন রায় গণতন্ত্রের হত্যা। এটা দুর্ভাগ্যজনক।”
প্রসঙ্গত, গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে এনসিপিতে গোষ্ঠী কোন্দল চরমে পৌঁছায়। সদলবলে শরদ পওয়ারের (Sharad Pawar) এনসিপি থেকে বেরিয়ে বিজেপির হাত ধরেন ভাইপো অজিত পওয়ার। মহারাষ্ট্র মন্ত্রিসভায় যোগ দেন এনসিপির ৯ বিধায়ক। অজিত নিজে উপমুখ্যমন্ত্রী হন। ক্ষুব্ধ শরদ অজিত শিবিরের একাধিক নেতাকে বরখাস্ত করেন।