সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জামিন পাওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে ধর্ষিতাকে বিয়ে করতে হবে। মান্যতা দিতে হবে তার সন্তানকেও। স্রেফ সেই শর্তেই জামিন পেয়ে গেল ধর্ষক। নাবালিকা ধর্ষণ মামলায় বেনজির এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে এলাহাবাদ হাই কোর্ট (Allahabad High Court)। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে বিতর্ক।
ধর্ষণের জেরে সন্তান এসেছিল নাবালিকার গর্ভে। যথাসময়ে সেই সন্তানের জন্মও হয়। কিন্তু সন্তানের জন্মের পর থেকে গঞ্জনা শুনতে হচ্ছিল নাবালিকা ধর্ষিতাকে। সমস্যায় পড়েছিল তার পরিবারও। সেকারণেই মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে ধর্ষককে শর্তসাপেক্ষে জামিন দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে এলাহাবাদ হাই কোর্ট। শুক্রবার এলাহাবাদ হাই কোর্ট ওই ধর্ষককে জামিন দিয়েছে। আদালতের পর্যবেক্ষণ, ওই ধর্ষকই নির্যাতিতার সন্তানের বাবা। সদ্য মা হয়েছে নির্যাতিতা। তার ‘অসহায়’ বাবা এবং পরিবারের কথা ভেবে ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
[আরও পড়ুন: রোহিত শর্মার ভক্তকে খুন বিরাট অনুরাগীর! গ্রেপ্তার করা হোক কোহলিকে, সরব সোশ্যাল মিডিয়া!]
চলতি বছরের এপ্রিল থেকে ওই অভিযুক্ত জেলে রয়েছে। তার বিরুদ্ধে অপহরণ, যৌন নির্যাতন ছাড়াও পকসো (POCSO) মামলায় অভিযোগ দায়ের করে পুলিশ। অভিযোগ, ১৭ বছরের ওই নাবালিকাকে বাড়িতে ডেকে ধর্ষণ করেছিল অভিযুক্ত। ধর্ষণের পরই মেয়েটি সন্তানসম্ভবা হয়ে পড়ে। যথাসময়ে সে একটি কন্যা সন্তানের জন্মও দিয়েছে। আপাতত শিশুটির বয়স একমাস। আদালতে এই মামলার সওয়াল-জবাব চলাকালীনই অভিযুক্ত ওই নির্যাতিতাকে বিয়ে করতে চায়। আদালত তার ইচ্ছাকেই মান্যতা দিয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘আমাদের তিন স্ত্রী থাকলেও সবাইকে সম্মান করি, কিন্তু হিন্দুরা…’, মিম নেতার মন্তব্যে তুঙ্গে বিতর্ক]
অভিযুক্তের আইনজীবীর দাবি, ওই মেয়েটির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল অভিযুক্তের। তারা পালিয়ে বিয়ের পরিকল্পনাও করেছিল। কিন্তু সেই পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। এরই মধ্যে ধর্ষণের মামলা করে নির্যাতিতার পরিবার। সওয়াল-জবাব চলাকালীন নির্যাতিতার পরিবারকে ডেকে অভিযুক্তের সঙ্গে বিয়েতে তাদের কোনও আপত্তি আছে কিনা জানতে চাওয়া হয়। তারাও আপত্তি করেনি। ফলে বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তেই সায় দেন বিচারপতি দীনেশকুমার সিং (Dinesh Kumar Singh)। যদিও তার এই সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলছে আইনজীবী মহল। ধর্ষণে অভিযুক্তকে স্রেফ বিয়ের নিদান দিয়ে জামিন দেওয়া হল কোন যুক্তিতে? প্রশ্ন আইনজীবীদের।