সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আসছে কুম্ভমেলা। গোটা রাজ্য বা দেশ শুধু নয়, সারা বিশ্ব তাকিয়ে থাকবে এই মেগা ইভেন্টের দিকে। সে কারণে তৎপর প্রশাসন। চওড়া করা হচ্ছে রাস্তা। আর সরকারের এই কাজে সাহায্য করতে এগিয়ে এলেন উত্তরপ্রদেশের মুসলিমরাই। বেশ কয়েকটি মসজিদের অংশবিশেষ তাঁরা ভাঙলেন স্বেচ্ছায়।
[ বাসের ছাদ ফুঁড়ে ঢুকে গেল ব্যারিকেড, একই দিনে দুই দুর্ভোগের সাক্ষী মুম্বই ]
ধর্মীয় ভেদাভেদে জর্জরিত সময়ে এ বেশ দৃষ্টান্তস্বরূপ কাজ। গোটা রাজ্যের স্বার্থ যেখানে জড়িত, সেখানে স্রেফ ধর্মীয় গোঁড়ামির কারণে জেদ ধরলেন না কেউই। বরং এগিয়ে এলেন প্রশাসনকে সাহায্য করতে। অবশ্য সাহায্য করার কাজটি কিন্তু যেমন তেমন নয়। মসজিদের কোনও কোনও অংশ ভাঙা মানে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত লাগার সম্ভাবনা ছিল প্রবল। এমনকী সরকার এ কাজে বাধ্য করলে উলটে চাপে পড়তে পারত। কিন্তু রাজ্যের স্বার্থ সবার আগে। আর তাই মসজিদের ‘বেআইনি’ নির্মাণ ভাঙতে এগিয়ে এলেন মুসলিমরাই। সরকারি জায়গায় বেশ কয়েকটি মসজিদের নির্মাণ হয়েছিল বা অংশবিশেষ তৈরি হয়েছিল। রাস্তা চওড়া করতে গেলে তা ভাঙতেই হত। সরকারের বদলে মুসলিমরা নিজেরাই সে অংশ ভাঙার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কাজে করেও দেখিয়েছেন। সংবাদসংস্থা এএনআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তাঁরা জানিয়েছেন, সম্পূর্ণ স্বেচ্ছাতেই এই কাজ করেছেন তাঁরা। কোথাও থেকে কোনও চাপ আসেনি। কুম্ভমেলার আগে সরকার রাস্তা চওড়া করার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা সমর্থন করেন বলেই অক্লেশে এ কাজ করতে পেরেছেন তাঁরা।
২০১৯-এর কুম্ভমেলার প্রথম স্নান জানুয়ারির মাঝামাঝি। মেগা এই ইভেন্টকে ঘিরে যোগী সরকারের তৎপরতা তুঙ্গে। উত্তরপ্রদেশের পর্যটন বিভাগও বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে দেখছে। আর পুরো ইভেন্টের তদারকিতে আছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। এর আগে তিনি পূর্ববর্তী কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিলেন। কুম্ভমেলাকে সঠিক গুরুত্ব দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ ছিল তাঁর। কিন্তু এবার কোনও খামতি রাখতে নারাজ। তাই এখন থেকেই শুরু হয়েছে ব্যবস্থাপনা। চওড়া হচ্ছে রাস্তা। আর মসজিদের অংশবিশেষ ভেঙে সে কাজে গতি আনলেন মুসলিমরাই। সেই সঙ্গে দেখিয়ে দিলেন একসঙ্গে ভিন্ন ধর্মাচরণের এই মানসিকতাই সত্যিকার ভারতের প্রতীক।
[ অমরনাথের পথে মৃত্যু ৩ পুণ্যার্থীর, মৃতের সংখ্যা ছাড়াল ৬ ]
The post কুম্ভমেলার জন্য চওড়া হবে রাস্তা, স্বেচ্ছায় মসজিদের অংশ ভাঙলেন মুসলিমরা appeared first on Sangbad Pratidin.