সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সাতসকালে মাইকে আজানের (Azaan) সুর ভেসে এলে তাঁর ঘুমের প্রচণ্ড ব্যাঘাত ঘটে। এমনকী, শুরু হয়ে যায় মাথাব্যথাও। তাই অবিলম্বে তাঁর বাড়ির কাছে অবস্থিত মসজিদে বন্ধ হোক মাইকের ব্যবহার। এই মর্মে এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের (Allahabad University) উপাচার্য চিঠি লিখলেন জেলাশাসককে। জেলাশাসক তাঁকে আশ্বস্ত করেছেন, আইন অনুযায়ী যা পদক্ষেপ করার তিনি করবেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় বিতর্ক শুরু হয়েছে। অনেকেই মাইকে আজান বন্ধ করার পক্ষে সায় দিয়েছেন। পাশাপাশি উলটো কথাও শোনা যাচ্ছে। বিজেপি এই এলাকায় ক্ষমতায় আসার পর থেকে এই ধরনের বিষয় সামনে আসছে বলে অভিযোগ উঠছে।
এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই উপাচার্যের নাম সঙ্গীতা শ্রীবাস্তব। তিনি জেলাশাসক ভানুচন্দ্র গোস্বামীর কাছে লেখা ওই চিঠিতে আরও জানিয়েছেন, আজান থেমে গেলেও ঘুম আর আসতে চায় না। মাথা ধরে থাকে। যার প্রভাব পড়ে সারাদিনের কাজে। তবে তাঁর চিঠিতে তিনি পরিষ্কার করে দিয়েছেন, তিনি কোনও ধর্মের বিরোধী নন। কিন্তু রমজানের সময় ভোর চারটে থেকে মসজিদের মাইকে যেভাবে ঘোষণা শুরু হয়ে যায়, তাতে এলাকার মানুষদের অসুবিধা হয়। তাঁর চিঠির কপি ইতিমধ্যেই ডিভিশনাল কমিশনারের কাছেও পাঠিয়েছেন তিনি।
[আরও পড়ুন: নমাজ পড়তে যাওয়ার পথে মহিলার অন্তর্বাস চুরি! ভাইরাল উত্তরপ্রদেশের যুবকের কীর্তি]
এই অভিযোগ ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক। অযোধ্যার সন্ন্যাসী ও পুরোহিতরা উপাচার্যকে সমর্থন করছেন। তাঁদের দাবি, খুব জোরে না বাজিয়ে যদি মাইকে মাঝারি শব্দে আজান বাজানো হয় তাহলে কারও অসুবিধেই হবে না। উপাচার্যকে সমর্থন করে বিবৃতি দিয়েছেন বিজেপি (BJP) মুখপাত্র মণীশ শুক্লা। তাঁর কথায়, ”দেশের সংবিধান ও আইন প্রত্যেককেই অধিকার লঙ্ঘিত হলে প্রতিবাদের অধিকার দিয়েছে।” সমাজবাদী পার্টির মুখপাত্র অনুরাগ ভাদোরিয়া আবার কাঠগড়ায় তুলেছেন বিজেপিকে। তাঁর অভিযোগ, ”যখন থেকে বিজেপি এখানে ক্ষমতায় এসেছে, সব ইস্যুর সঙ্গেই জাতপাত ও ধর্মকে জুড়ে দেওয়া হয়েছে। উন্নয়নের কোনও চিহ্নই নেই।”
এদিকে কর্ণাটকের (Karnataka) ওয়াকফ বোর্ড ইতিমধ্যেই রাজ্যের সর্বত্র রাত দশটা থেকে সকাল ছ’টার মধ্যে মসজিদ ও দরগায় আজানের সময় মাইকের ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। শব্দদূষণ রোধ করতেই তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে বোর্ডের তরফে জানানো হয়েছে।