সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বর্ণবিদ্বেষের শিকার হয়ে দেরাদুনে মৃত্যু হয়েছে ত্রিপুরায় পড়ুয়া অ্যাঞ্জেল চাকমার (Angel Chakma Death)! এমন অভিযোগ ঘিরে দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। কিন্তু সোমবারই ‘বর্নবিদ্বেষে’র তত্ত্ব খারিজ করেছে উত্তরাখণ্ড পুলিশ। এরপরই ফুঁসে উঠল নিহতের পরিবার। অ্যাঞ্জেলের বাবার দাবি, তাঁর ছেলেকে ‘চাইনিজ মোমো’ বলে বিদ্রূপ করেছিল হামলাকারীরা। পাশাপাশি, তাঁকে উদ্দেশ্য করে একাধিক বর্ণবিদ্বেষী মন্তব্যও করা হয়েছিল বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
পুত্রশোকে বিহ্বল অ্যাঞ্জেলের বাবা তরুণ প্রসাদ চাকমা বলেন, “ওঁর দাদাকে বাঁচাতে গিয়েছিল অ্যাঞ্জেল। কিন্তু হামলাকারীরা ওঁকে নৃশংসভাবে হত্যা করা করেছে। ওকে চিনা বলে দাগিয়ে দেওয়া হয়েছে।” তাঁর দাবি, হামলাকারীরা অ্যাঞ্জেলকে ‘চাইনিজ মোমো’ বলে কটাক্ষ করেছিল। শুধু তাই নয়, তাঁকে উদ্দেশ্য করে বিভিন্ন বর্ণবিদ্বেষী মন্তব্যও করা হয়েছিল। অ্যাঞ্জেল আর্তনাদ করে বলেছিল, সে চিনা নয়। সে ভারতীয়। কিন্তু তা-ও হামলাকারীরা তাঁকে ছুরি এবং ধারলো অস্ত্র দিয়ে কোপায়।
প্রসঙ্গত, অ্যাঞ্জেল হত্যাকাণ্ডে বর্ণবিদ্বেষের তত্ত্ব খারিজ করে দিয়েছে উত্তরাখণ্ড পুলিশ। এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, অ্যাঞ্জেলকে উদ্দেশ্য করে অভিযুক্তরা কোনও মন্তব্য করেননি। তাঁরা নিজেরা ঠাট্টা করছিলেন। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে দেরাদুনের সিনিয়র পুলিশ সুপার অজয় সিং বলেন, “ঘটনার দিন কয়েকজন যুবক নিজেদের মধ্যে কথাবার্তা বলছিলেন। ঠাট্টা করছিলেন। কিন্তু কোনওভাবে ধারণা তৈরি হয় যে সেগুলি অ্যাঞ্জেলকে উদ্দেশ্য করে বলা। এই বিভ্রান্তির মধ্যেই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। গোটা ঘটনাটি সাময়িক উত্তাপের প্রতিফলন ছিল। অ্যাঞ্জেলকে যে মন্তব্যগুলি করা হয়েছিল, তা কোনও ভাবেই বর্ণবিদ্বেষী ছিল না। কারণ, ঘটনায় অভিযুক্ত এক যুবক ত্রিপুরারই বাসিন্দা।” তিনি আরও বলেন, “দু’পক্ষই একে অপরকে চিনত না। ফলে বিবাদ হওয়ার কোনও কারণই ছিল না। অভিযুক্তদের মধ্যে একজন জিজ্ঞাসাবাদের সময় শিকার করে নিয়েছেন যে তাঁরা অ্যাঞ্জেলকে উদ্দেশ্য করে কোনও মন্তব্য করেনি। তাঁরা নিজেদের মধ্যে হাসি-ঠাট্টা করেছিল।” পুলিশ আধিকারিকের এই মন্তব্যের পরই ফুঁসে উঠল নিহতের পরিবার।
