সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: এবার তিহাড় জেলই ঠিকানা অনুব্রত মণ্ডলের হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারির। তাঁকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল রাউস অ্যাভিনিউ আদালত। সূত্রের খবর, স্বামীর জেল হেফাজতের নির্দেশ শোনার পর এদিন ইডি’র তদন্তকারী আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলেন মণীশের স্ত্রী। নিজের স্বামীকে বারবার নির্দোষ বলে দাবিও করেন তিনি।
ইডি হেফাজত শেষে সোমবার মণীশ কোঠারিকে রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে তোলা হয়। এদিন ইডি’র আইনজীবী মণীশকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার দাবি জানাননি। ইডি’র দাবি, মণীশ কোঠারিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সমস্ত তথ্য সংগ্রহের কাজ হয়ে গিয়েছে। তাই আর নতুন করে তাঁকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করার প্রয়োজনীয়তা নেই। তবে মণীশকে জামিনে মুক্তি দিলে তদন্ত প্রভাবিত করতে পারেন। পরবর্তীকালে প্রয়োজন হলে আবারও তাঁকে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাতে পারে ইডি। যদিও শুরু থেকেই জামিনের আবেদন জানান মণীশের আইনজীবী। তবে দু’পক্ষের সওয়াল জবাব শেষের পর মণীশ কোঠারিকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় রাউস অ্যাভিনিউ আদালত। আপাতত আগামী ১৪ দিন তিহাড় জেলেই থাকতে হবে অনুব্রত মণ্ডলের হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিকে।
[আরও পড়ুন: ‘আমায় বিয়ে করবেন?’, বিমানবন্দরে ভক্তকে গোলাপ দিয়ে প্রস্তাব রোহিতের! ভিডিও ভাইরাল]
সূত্রের খবর, জেল হেফাজতের নির্দেশ শোনার পর স্বামীর সঙ্গে কিছুক্ষণ কথা বলেন মণীশ কোঠারির স্ত্রী। এদিনও ফের কান্নাকাটি করেন। মণীশের স্ত্রী তাঁর স্বামীর হাতে মাদুলি তুলে দেন বলেও সূত্রের খবর।
শোনা গিয়েছে, ইডি’র তদন্তকারী আধিকারিকের সঙ্গেও কথা বলেন মণীশ ঘরনি। তাঁর স্বামীকে সম্পূর্ণ নির্দোষ বলে দাবি করেন। সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে তদন্তকারী আধিকারিক মণীশ কোঠারির গ্রেপ্তারি নিয়ে তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন। জানান, মণীশ মূল অভিযুক্ত না হলেও গরু পাচার মামলায় নাম জড়িয়েছে তাঁর। আর খোদ অনুব্রত মণ্ডলই জেরায় মণীশ কোঠারির কথা বারবার উল্লেখ করেছেন। তাই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এদিকে, মঙ্গলবার রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে তোলা হবে অনুব্রত মণ্ডলকে। তাঁকেও শেষমেশ তিহাড় জেলে পাঠানো হয় কিনা, সেটাই এখন দেখার।