সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অবশেষে দিল্লিতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (Enforcement Directorate) দপ্তরে অনুব্রতকন্যা সুকন্যা মণ্ডল। বুধবার সকাল ১০টার কয়েক মিনিট আগেই হাজিরা দেন তিনি। এদিন তাঁর বিপুল সম্পত্তি, আর্থিক লেনদেন নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলেই ইডি সূত্রে খবর। তাৎপর্যপূর্ণভাবে এদিন সকালেই ইডি দপ্তরে আনা হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকেও। তাহলে কি সুকন্যা-সায়গলকে মুখোমুখি জেরা করতে চায় ইডি, উঠছে প্রশ্ন।
গরু পাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case) বীরভূমের তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করেছে সিবিআই (CBI)। আপাতত আসানসোল সংশোধনাগারে রয়েছেন তিনি। একই মামলায় আগেই গ্রেপ্তার হয়েছেন অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনও। তাঁকেও নিজেদের হেফাজতে দিল্লি নিয়ে গিয়েছে ইডি। তদন্তকারীদের দাবি, অনুব্রতর হয়ে গরু পাচারকারীদের সঙ্গে সমস্ত ‘ডিল’ করতেন সায়গল। তাঁর মারফতই টাকা আসত অনুব্রতর কাছে। সেই সংক্রান্ত তথ্য় পেতেই সায়গলকে জেরা করছে ইডি।
এদিকে অনুব্রত গ্রেপ্তারির পর তাঁর মেয়ের সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে। প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষিকা হলেও সুকন্যা মণ্ডলের নামে রয়েছে বিপুল সম্পত্তি। তাঁর নামে রয়েছে চালকল। এমনকী, বিভিন্ন ব্যবসায় বিপুল অর্থ বিনিয়োগের নথিও তাঁর নামে মিলেছে বলে দাবি ইডির। একজন প্রাথমিক শিক্ষিকা কীভাবে বিপুল সম্পত্তির মালিক হলেন? সুকন্যার বিপুল আয়ের উৎস কী, তা জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। তাঁদের সন্দেহ, সুকন্যাকে সামনে রেখে অনুব্রত মণ্ডল গরু পাচারের টাকা ব্যবহার করে সম্পত্তি কিনেছেন। এই সমস্ত প্রশ্নের জবাব পেতেই সুকন্যাকে জেরা করতে চলেছে ইডি। খতিয়ে দেখা হবে তাঁর আয়-ব্যয় সংক্রান্ত নথিও।
ইডির তরফে সুকন্যাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রথম নোটিসে ২৭ অক্টোবর দিল্লিতে তলব করা হয়েছিল। রাজ্যের বাইরে থাকায় সিবিআইয়ের (CBI) তলব এড়িয়ে গিয়েছিলেন তিনি। বান্ধবীর চিকিৎসা করাতে তিনি ভিনরাজ্যে থাকায় হাজিরা দিতে পারবেন না বলে ইডিকে জানিয়েছিলেন। এরপরে ২৭ তারিখ রাতেই সুকন্যাকে ই-মেল করে ফের ২ নভেম্বর দিল্লিতে তলব করা হয়। নির্দিষ্ট দিনেই সময়ের আগে ইডি দপ্তরে পৌঁছে গেলেন অনুব্রতকন্যা।