সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কৃষকদের ‘দিল্লি চলো’ অভিযান ঘিরে দিল্লি, হরিয়ানা, পাঞ্জাবের সীমানা কার্যতই রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে হাই কোর্টের নির্দেশ, প্রতিবাদীদের নির্দিষ্ট কিছু এলাকা বেছে দিতে হবে প্রশাসনকে। উভয়পক্ষকেই সৌহার্দ্যের সঙ্গে বিষয়টা মিটিয়ে নিতে হবে।
কৃষক বিক্ষোভ সংক্রান্ত দুটি ভিন্ন মামলার শুনানি ছিল এদিন। পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি জি এস সান্ধাওয়ালিয়া ও বিচারপতি লপিতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বেঞ্চ জানিয়েছে, ‘বাক ও মত প্রকাশের মৌলিক অধিকারে ভারসাম্য থাকতে হবে। বিচ্ছিন্নভাবে কোনও অধিকার প্রযোজ্য হয় না। সমস্যাটি সব পক্ষের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণভাবে সমাধান করা উচিত। প্রতিবাদীদের নির্দিষ্ট কিছু এলাকা বেছে দেওয়া উচিত। বলপ্রয়োগ একেবারে শেষ উপায় হওয়া উচিত।’
[আরও পড়ুন: বিলেতে আমন্ত্রিত মমতা, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডাক পেয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত]
উল্লেখ্য, এদিন দুপুর নাগাদ প্রতিবাদীদের রুখতে ড্রোন থেকে লাগাতার কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। তবে প্রবল বিরোধিতার মধ্যেও নিজেদের লক্ষ্যে অবিচল কৃষকরা। তাঁরা সাফ জানাচ্ছেন, অন্তত ছমাস ধরে প্রতিবাদ চালিয়ে যাওয়ার মতো রশদ নিয়েই দিল্লির (Delhi) দিকে রওনা দিয়েছেন তাঁরা। এখনও এই আন্দোলনে যুক্ত হয়নি রাকেশ টিকায়েতের দল ভারতীয় কিষান ইউনিয়ন। কিন্তু কৃষক নেতা জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি প্রতিবাদীদের পাশেই রয়েছেন।
এদিকে দিল্লি পুলিশের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, তারা কৃষকদের মিছিল রুখতে তারা কড়া পদক্ষেপই করবে। সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, কৃষকরা যদি আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন, তাহলে পুলিশও রক্ষণাত্মক হয়ে উঠবে না।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার সকালে দিল্লির দিকে যাত্রা শুরু করে কৃষকদের বিরাট মিছিল (Farmers protests)। তার পরেই পাঞ্জাব-হরিয়ানা সীমানায় শম্ভু এলাকায় ব্যাপক কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, গোটা এলাকা ঢেকে গিয়েছে ধোঁয়ায়। এদিকে এদিন সন্ধেয় কৃষকদের তরফে জানানো হয়েছে মঙ্গলবার আর মিছিল এগিয়ে নিয়ে যাবেন না তাঁরা। আবার বুধবার সকাল থেকেই নতুন উদ্যমে শুরু হবে ‘দিল্লি চলো’।