সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জয়সালমেরে পাক সীমান্তের কাছে গর্জে উঠল ভারতীয় ফৌজের ট্যাঙ্ক বাহিনী। হেলিকপ্টার থেকে অদ্ভুত কৌশলে ঝাঁপিয়ে পড়ে মুহূর্তে শত্রুশিবির তছনছ করল বিশেষ কমান্ডো বাহিনী। না, যুদ্ধ শুরু হয়নি। তবে লড়াই লাগলে কত দ্রুত প্রতিপক্ষকে নাস্তানাবুদ করবে ইন্ডিয়ান আর্মি সেই কৌশল ঝালিয়ে নিতে রাজস্থানে মহড়া চালাল সেনাবাহিনী।
[আরও পড়ুন: কাশ্মীরি পণ্ডিতদের হত্যার বদলা, লাগাতার এনকাউন্টারে উপত্যকায় নিকেশ ৪ জেহাদি]
বৃহস্পতিবার রাজস্থানের জয়সালমেরে যুদ্ধকৌশল প্রদর্শন করে সেনাবাহিনী। এই মহড়ার নাম ‘দক্ষিণ শক্তি’। মরুভূমিতে ভারতীয় ট্যাঙ্ক বাহিনী, ড্রোন ও কমান্ডোদের কৌশল দেখতে হাজির ছিলেন খোদ সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ মুকুন্দ নারাভানে। স্থলসেনার তরফে টুইট করে জানান হয়েছে,”দক্ষিণ শক্তি মহড়া দেখতে জয়সালমেরে হাজির হয়েছিলেন চিফ অফ আর্মি স্টাফ জেনারেল নারাভানে। ভবশ্যতয়ের যুদ্ধের জন্য ড্রোন বাহিনী কীভাবে হামলা চালাবে সেই কৌশল খতিয়ে দেখেন তিনি।”
বলে রাখা ভাল, জয়সালমেরে থর মরুভূমির বুকে রয়েছে সেই বিখ্যাত লঙ্গেওয়ালা। যেখানে একাত্তরের ভারত-পাক যুদ্ধে বিশাল পাকিস্তানি ট্যাঙ্ক বাহিনীকে ধুলোয় মিশিয়ে দেয় ১২০ জনের ভারতীয় ফৌজী দল।
উল্লেখ্য, লাদাখ ও অরুণাচল প্রদেশে চোখ রাঙাচ্ছে চিন (China)। কাশ্মীরকে রক্তাক্ত করছে পাকিস্তানি জঙ্গিরা। ফলে দু’টি ফ্রন্টে একসঙ্গে লড়াইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে বলেই মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকরা। তাই যে কোনও পরিস্থিতির জন্য তৈরি থাকছে ফৌজ। একইসঙ্গে রাজস্থানে মহড়া আসলে পাকিস্তানের উপর মানসিক চাপ তৈরি এক কৌশলও। চিন ও পাকিস্তানকে নজরে রেখে তৈরি হচ্ছে ভারত। গালওয়ান সীমান্তে শিক্ষা পেলেও ফের লাদাখে থাবা বাড়াচ্ছে লালচিন। পাল্লা দিয়ে কাশ্মীরে জেহাদের আগুনে ঘি ঢালছে পাকিস্তান (Pakistan)। এহেন সময়ে সেনাবাহিনীর আধুনিকীকরণে জোর দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। সম্প্রতি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ প্রকল্পের আওতায় সেনাবাহিনীকে আরও ঘাতক করে তুলতে প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে সরকার।