সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইদানীংকালে মাওবাদী অভিযানে সবচেয়ে বড় সাফল্য মিলেছে সপ্তাহ খানেক আগে। ছত্তিশগড়ের বস্তার ডিভিশনে রাজ্য পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স এবং ‘ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড’-এর অভিযানে ৩১ মাওবাদী খতম হয়েছে। যদিও শুক্রবার দান্তেওয়াড়া পুলিশের দাবি, ৩১ নয়, দান্তেওয়াড়া-নারায়ণপুর সীমান্তে জঙ্গলে গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হয়েছে আরও ৭ মাওবাদীর। ফলে মোট মৃত মাওবাদীর সংখ্যা দাঁড়াল ৩৮। এদিকে শনিবার সকালে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযান থেকে ফেরার পথে একাধিক আইইডি বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে মাওবাদীরা। দুই সেনা জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে ওই বিস্ফোরণে। আহত হয়েছেন আরও দুজন পুলিশকর্মী।
এদিন মৃত্যু হয়েছে ইন্দো তিব্বত বর্ডার পুলিশের ৫৩ নম্বর ব্যাটালিয়নের দুই জওয়ান অমর পানওয়ার এবং কে রাজেশের। এদের মধ্যে পানওয়ার মহারাষ্ট্রের সাতারার বাসিন্দা, রাজেশ অন্ধ্রপ্রদেশের কাদাপার বাসিন্দা। দু’জনেরই বয়স ৩৬ বছর। অন্যদিকে আহত দুই পুলিশকর্মী নারায়ণপুর জেলার বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। তাঁদের তড়িঘড়ি নিকটবর্তী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে নায়ারণপুর এবং দান্তেওয়াড়া জেলার সীমানাবর্তী অবুঝমাঢ়ের জঙ্গলে অভিযান চালায় এসটিএফ এবং ডিআরজির যৌথবাহিনী। বারসুর থানার অন্তর্গত নেনপুর-থুলথুলির জঙ্গলে উভয় পক্ষের মধ্যে গুলির লড়াই শুরু হয়। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছিল, নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নিষিদ্ধ সংগঠন সিপিআই (মাওবাদী)-র সশস্ত্র শাখা পিএলজিএ (পিপলস লিবারেশন গেরিলা আর্মি) অন্তত ৩১ জন নিহত হয়েছেন। একে খতম হওয়া মাওবাদীদের নাম সামনে আসার পরে দেখা যায়, অভিযানে দুই শীর্ষ মাও নেতা, যথাক্রমে সিপিআই (মাওবাদী)-র দণ্ডকারণ্য জোনাল কমিটির কমলেশ ওরফে আরকে এবং নীতি ওরফে উর্মিলারও মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার দান্তেওয়াড়া পুলিশ জানাল, সেদিন এনকাইন্টারে মৃতের সংখ্যা ৩১ নয়, ৩৮। ৩৮ মাওবাদীদের মোট মাথার দাম ২ কোটি ৬২ লক্ষ টাকা। ইতিমধ্যে ২৯ জনের দেহ তুলে দেওয়া হয়েছে তাঁদের পরিবারকে।