সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আইপিএস ইস্যুতে কেন্দ্রের সঙ্গে সংঘাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) পাশে দাঁড়ালেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal)। শুক্রবার সকালে টুইট করে মমতাকে সমর্থনের বার্তা দেন তিনি। টুইটে আপ সুপ্রিমো লেখেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উপর চাপ তৈরি করে তিন আইপিএস অফিসারের ট্রান্সফার নিয়ে কেন্দ্রের ভূমিকার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। বাংলায় ভোটের আগে কেন্দ্রের এ ধরনের পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর উপর আঘাত।
গত সপ্তাহে বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার (JP Nadda) রাজ্য সফর চলাকালীন ডায়মন্ড হারবারে তাঁর কনভয়ে হামলার ঘটনা ঘিরে কেন্দ্র-রাজ্যের মধ্যে নতুন করে সংঘাত তৈরি হয়। যথাযথ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেনি রাজ্য পুলিশ, কেন্দ্রের তরফে এই অভিযোগ তুলে রাজ্য প্রশাসনের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয়। তারপর রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত তিন আইপিএস অফিসার রাজীব মিশ্র, প্রবীণ ত্রিপাঠি এবং ভোলানাথ পাণ্ডেকে ট্রান্সফার করে দেওয়া হয় দিল্লি থেকে। কিন্তু তিন অফিসারকে ছাড়তে নারাজ নবান্ন। বৃহস্পতিবার ফের তাঁদের ডেপুটেশনে চেয়ে রাজ্যকে চিঠি পাঠায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। তাঁদের নতুন পোস্টের কথাও জানানো হয়। এর প্রতিক্রিয়ায় মুখ্যমন্ত্রী কড়া ভাষায় টুইট করে জানান, কেন্দ্রের এই পদক্ষেপ আইপিএস ক্যাডার রুল-১৯৫৪’র পরিপন্থী। তাতে সংঘাত আরও চরমে ওঠে।
[আরও পড়ুন: ‘দেশের স্বার্থে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ বিল আনতেই হবে’, ফের জল্পনা উসকে দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী]
এরপরও ফের রাজ্য প্রশাসনের তরফে জানানো হয় যে তিন আইপিএস অফিসারকে এখনই দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া যাবে না। ফলে শুক্রবার তাঁদের দিল্লিতে রিপোর্টিংয়ের জন্য তলব করা হলেও রাজীব মিশ্র, প্রবীণ ত্রিপাঠি এবং ভোলানাথ পাণ্ডে দিল্লি যাচ্ছেন না। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের পদক্ষেপের বিরোধিতা করে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ সুপ্রিমো। বাংলার প্রতি এ ধরনের আচরণ যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় আঘাত বলে তিনি মনে করছেন।
[আরও পড়ুন: মন্ত্রীকে প্রাণে মারার জন্য ‘কালা জাদু’! গ্রেপ্তার মহারাষ্ট্রের ২ তান্ত্রিক]
এর আগেও অনেক ক্ষেত্রে মমতা-কেজরিওয়াল কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরোধিতা করেছিলেন। উভয়ের মধ্যে সম্পর্কও বেশ ভাল। সেই জায়গা থেকেই এবারও কেজরিওয়াল মমতার পাশে দাঁড়ালেন বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশ। তবে রাজনৈতিক মহলের একাংশের মত, কেজরির সমর্থনে বিষয়টি আর স্রেফ কেন্দ্র-রাজ্য মতানৈক্যের স্তরে রইল না। এটি জাতীয় রাজনীতির একটা ইস্যু হয়ে গেল।