সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শনিবার দিল্লি বিধানসভায় আস্থা ভোটে জয়ী হল আপ (AAP)। শুক্রবারই আস্থা ভোটের প্রস্তাব দেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal)। এদিন আম আদমি পার্টির ৬২ জন বিধায়কের মধ্যে ৫৪ জন উপস্থিত ছিলেন আস্থা ভোটে। ধ্বনি ভোটে গৃহীত হয় ভোট। আর প্রত্যাশামতোই সেই ভোটে জয়ী হল কেজরিওয়ালের দল।
তাঁরা সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়া সত্ত্বেও কেন আস্থা ভোট? এর উত্তরে কেজরিওয়ালের মন্তব্য, ”কক্ষে আমরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ। তবুও আস্থা ভোট দরকারি, কেননা বিজেপি আপ বিধায়কদের ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে।” প্রসঙ্গত, কেজরিকে এর আগে বলতে শোনা গিয়েছিল, তাঁর কাছে দুই আপ (AAP) বিধায়ক আগেই অভিযোগ জানিয়েছেন, বিজেপির তরফে টাকার প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে দলীয় প্রতিনিধিদের। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ”ওঁরা বিধায়কদের ২৫ কোটি টাকার টোপ দিয়েছেন বিজেপিতে যোগ দিতে। পরে আমরা খোঁজ করে দেখেছি, ২১ নয়, ৭ জন বিধায়কের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে বিজেপি।”
[আরও পড়ুন: তিনদিন পর হাসপাতাল থেকে ছুটি সুকান্তর, জাতীয় অধিবেশনে যোগ দিতে দিল্লিতে দিলীপ-শমীক]
প্রসঙ্গত, গত বুধবার ষষ্ঠবার কেজরিকে তলব করে ইডি। আগামী সোমবার অর্থাৎ ১৯ মার্চ তাঁকে হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল। এর আগে পাঁচবার তাঁকে তলব করা হলেও যাননি আপ সুপ্রিমো। সেই সংক্রান্ত মামলায় শনিবার আদালতে উপস্থিত হওয়ার কথা কেজরিওয়ালের। কিন্তু আস্থা ভোটের কারণ দেখিয়ে সশরীরে আদালতে যাননি কেজরিওয়াল। এদিন ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তিনি শুনানিতে অংশ নিয়েছিলেন।
এদিন দিল্লি বিধানসভায় বিজেপিকে প্রবল ভাবে আক্রমণ করেন কেজরিওয়াল। তাঁর কটাক্ষ, বিজেপি ‘রামভক্ত’ হওয়ার দাবি করে অথচ। হাসপাতালে গরিব মানুষদের ওষুধ দেওয়া বন্ধ করে দেয়। সেই সঙ্গে তাঁর দাবি, ”যদি এবার বিজেপি জিতেও যায়, আপ ২০২৯ সালে দেশকে বিজেপিমুক্ত করবেই।”