সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অন্য এক যুবকের সঙ্গে দুর্গাপুজোর ঠাকুর দেখতে যাওয়ায় প্রেমিকাকে ‘শাস্তি’ দিল ‘প্রেমিক’। ১৬ বছর বয়সি কিশোরীকে ধর্ষণ করে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠল বছর পঁচিশের এক যুবকের বিরুদ্ধে। অসমের (Assam) কাছাড় জেলার (Cachar District) এই ঘটনায় এলাকায় তুমুল চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ঘটনার নৃশংসতায় হতবাক স্থানীয়রা। গ্রেপ্তার করা হয়েছে অভিযুক্তকে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ৩ অক্টোবর অর্থাৎ সপ্তমীর দিন সন্ধ্যায় কিশোরী অন্য এক যুবকের সঙ্গে ঠাকুর দেখতে যায় বলে জানতে পারে অভিযুক্ত যুবক সঞ্জয় তেলি। এরপরই প্রতিশোধ নেবে বলে ঠিক করে পেশায় চা-বাগানের শ্রমিক ওই যুবক। কিশোরীর পরিবারের অভিযোগ, নাবালিকাকে গলা কেটে খুনের চেষ্টা করে সঞ্জয়। এরপর অচৈতন্য নাবালিকাকে ব্যাগে ভরে একটি জঙ্গলে ফেলে দেয় সে। যদিও কিশোরী সৌভাগ্যক্রমে প্রাণে বেঁচে যায়। জ্ঞান আসার পর কোনও ভাবে নিজেকে ব্যাগ থেকে বের করতে সক্ষম হয় সে। কোনও রকমে জীবন হাতে করে ছেঁড়া জামাকাপড় পরেই বাড়ি ফিরে আসে। বর্তমানে শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (Silchar Medical College and Hospital) তার চিকিৎসা চলছে বলে জানা গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: আগামী বছরই শুরু বায়ুসেনায় মহিলা ‘অগ্নিবীর’দের নিয়োগ, ঘোষণা এয়ার চিফ মার্শালের]
পুলিশ জানিয়েছে, ৩ অক্টোবর দুর্গাপুজোর ঠাকুর দেখতে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল কিশোরী। রাতভর নিখোঁজ থাকার পর ৪ অক্টোবর বিকেলে বাড়ি ফেরেছিল সে। এরপর অসুস্থ কিশোরীকে শিলচরের হাসপাতালে ভরতি করা হয়। ওই ৪ অক্টোবরেই থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয় নাবালিকার পরিবারের তরফে। পুলিশের বক্তব্য, নির্যাতিতাও বয়ান দিয়েছে, অভিযুক্ত সঞ্জয় তেলি তাকে অপহরণ করে একটি জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। এরপর তার গলায় ক্ষুর চালিয়ে হত্যা করার চেষ্টা করে। যদিও সে কোনওভাবে প্রাণে বেঁচে যায়।
[আরও পড়ুন: নরখাদক বাঘের তাণ্ডবে বিহারে ৮ জনের মৃত্যু! দেখা মাত্র গুলির নির্দেশ বন দপ্তরের]
নির্যাতিতার বয়ানের ভিত্তিতে অভিযুক্ত যুবক সঞ্জয় তেলিকে ৬ অক্টোবর গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। কাছাড়ের এক পুলিশকর্তা জানিয়েছেন, ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত শুরু হয়েছে। যাবতীয় অভিযোগ প্রমাণিত হলে উপযুক্ত ধারায় একাধিক মামলা রুজু করা হবে যুবকের বিরুদ্ধে।