সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একদিকে অযোধ্যায় রামমন্দিরে রামলালার (Ramlala) প্রাণপ্রতিষ্ঠায় ব্যস্ত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গোটা বিশ্বের সব প্রচারের আলো তাঁর দিকে। অন্যদিকে অযোধ্যা থেকে প্রায় ১২০০ কিলোমিটার দূরে লোকচক্ষুর আড়ালে ধরনায় বসে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। কংগ্রেস নেতার অভিযোগ, তাঁকে মন্দিরে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।
ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা (Bharat Jodo Nyay Yatra) নিয়ে এই মুহূর্তে অসমের নওগাঁ জেলায় রাহুল গান্ধী। রামমন্দির উদ্বোধনের দিন অসমের বৈষ্ণব সাধক শঙ্করদেবের জন্মস্থান বারদোভা থানায় যাওয়ার কথা ছিল কংগ্রেস নেতার। কংগ্রেস (Congress) সূত্রের দাবি, সেই মতো আগে অনুমতিও নেওয়া ছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে সেই অনুমতি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Himanta Biswa Sarma) জানিয়ে দেন, রাহুলের উচিত মন্দির উদ্বোধনের সময় শঙ্করদেবের জন্মস্থান ভ্রমণ এড়িয়ে যাওয়া। এতে আইনশৃঙ্খলার সমস্যা হতে পারে।
[আরও পড়ুন: রামমন্দির উদ্বোধনের আগে প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা রাষ্ট্রপতির, কী জবাব দিলেন মোদি?]
তা সত্ত্বেও এদিন রাহুল পূর্বনির্ধারিত সূচি অনুযায়ী শঙ্করদেবের জন্মস্থানে যাওয়ার চেষ্টা করেন। পুলিশ তাঁকে সেই অনুমতি দেয়নি। জানিয়ে দেওয়া হয়, রাহুলকে ওই মন্দিরে যেতে হলে বিকেল ৩টে পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের খবর অনুযায়ী, রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi) বোর্দো থানায় যেতে দেয়নি প্রশাসন। এর পরে রাহুল গান্ধী সেখানেই প্রতিবাদে বসেন। জানা গিয়েছে, স্থানীয় সাংসদ ও বিধায়কদের শঙ্করদেবের মঠে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু রাহুল গান্ধীকে যেতে দেওয়া হয়নি।
[আরও পড়ুন: রামমন্দিরের তহবিলে অনুদান দিলেই মিলতে পারে করছাড়, জেনে নিন কীভাবে?]
রাহুল বলেছেন, “আমি শুধু একবার হাতজোড় করে প্রণাম করতে যেতে চাই। সেই অনুমতিও দেওয়া হচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) কটাক্ষ করে বলেন, “আজ মনে হচ্ছে দেশে শুধুমাত্র একজনকেই মন্দিরে যেতে দেওয়া হচ্ছে। আমি কী ভুল করেছি যে আমি মন্দিরে যেতে পারছি না, অথচ আমার যাওয়ার অনুমতি আছে।” রাহুল অনুমতি না পাওয়ায় কংগ্রেসের তরফে গৌরব গগৈ গিয়ে শঙ্করদেবের মঠে পুজো দিয়ে এসেছেন। কংগ্রেস বলছে, ঠিক যেদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অযোধ্যায় সাড়ম্বরে রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা করছেন, সেদিনই দেশের প্রধান বিরোধী মুখকে মন্দিরে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। এর চেয়ে দ্বিচারিতা আর কিছু হয় না।