স্টাফ রিপোর্টার, নয়াদিল্লি: ‘আত্মনির্ভর ভারত’ (Atmanirbhar Bharat)। যে ভারত চ্যালেঞ্জের সামনে দাঁড়াতে ভয় পায় না। উলটে পালটা মার দিয়ে ছিনিয়ে আনে সাফল্য। বারবার দেশের স্বাবলম্বী হওয়ার সংকল্পের কথা বলতে গিয়ে এমনই এক অকুতোভয় দেশের কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। কিন্তু তিনি যতই ‘আত্মনির্ভর ভারত’ গড়ার ডাক দিন, চিনা পণ্য বয়কট করার হুঙ্কার দিন, আদতে যে তা শুধুই মুখের কথা, তা প্রমাণ হয়ে গেল খোদ সরকারি পরিসংখ্যানেই। দেখা যাচ্ছে, ২০১৭-১৮ থেকে প্রত্যেক বছর উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেয়েছে বিদেশ থেকে পণ্য আমদানির পরিমাণ।
পাঁচ বছর আগে আমদানি হয়েছিল প্রায় ৪৯৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য। বাড়তে বাড়তে গত অর্থবর্ষে তা হয়েছে ৬৭৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। অর্থাৎ দেশ মোটেই ‘ভোকাল ফর লোকাল’ হয়ে উঠতে পারেনি। বুধবার তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ দেবের প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী প্রমাণ হয়েছে, মুখ থুবড়ে পড়েছে চিনকে বয়কট করার তত্ত্বও। দেখা যাচ্ছে যে দেশগুলি থেকে সর্বাধিক পণ্য আমদানি করে ভারত, তার মধ্যে শীর্ষে চিনই। ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে ৬৫ বিলিয়ন ডলারের বেশি পণ্য এসেছিল ভারতে। গত অর্থবর্ষে তা বেড়ে হয়েছে ৯৪.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
[আরও পড়ুন: বিজেপিতে গিয়ে জয় হার্দিকের, হার কংগ্রেসের জিগনেশের! কী হল বাকি হেভিওয়েটদের?]
তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভা সাংসদ জহর সরকারের প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান যা জানিয়েছেন, তাতে দেখা যাচ্ছে, আইআইটি-আইআইএমের মতো কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে বরাদ্দ বাড়লেও, রাজ্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির ক্ষেত্রে কেন্দ্রের বরাদ্দ ক্রমশ কমেছে।
শিক্ষামন্ত্রকের দেওয়া জবাবে দেখা যাচ্ছে, গত তিন অর্থবর্ষে মোট কেন্দ্রীয় তহবিলের ১০-১১ শতাংশ স্থায়ীভাবে পাচ্ছে আইআইটি, আইআইএম, সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি সহ অল্প সংখ্যক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সেখানে দেশের সব রাজ্য মিলে একই সময়ে পেয়েছে কেন্দ্রীয় তহবিলের মাত্র ২২ শতাংশ। নতুন শিক্ষানীতি চালুর পর থেকে যা কমে হয়েছে ১৮.৮ শতাংশ।