সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় লিখেছিলেন, ''মানুষ বড় কাঁদছে,/ তুমি মানুষ হয়ে পাশে দাঁড়াও..., মানুষ বড় একলা,/ তুমি তাহার পাশে এসে দাঁড়াও।'' কখনও কখনও কবিতা পাতায় ছাপা লেখা হয়ে থেকে যায়, আবার কখনও তা জ্বলজ্যান্ত উদাহরণ হয়ে ওঠে। এই যেমনটা ঘটে গেল বেঙ্গালুরুর মেয়ে অপূর্বার সঙ্গে। অটোয় চড়ে তাঁর আলাপ হল 'IIM-B' চালকের সঙ্গে।
প্রত্যেকটা মানুষের আলাদা আলাদা গল্প থাকে। শুধু সেই গল্পটা খুঁজে নিতে হয়। তারই কিছু কিছু গল্প আমাদের অনুপ্রেরণা দেয়। বেঁচে থাকার রসদ জোগায় আজীবন। তেমনই এক গল্প খুঁজে পেয়েছেন অপূর্বা। বিষয়টা একটু খোলসা করে বলা যাক।
সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে অপূর্বার পোস্ট। যে পোস্টে একটু চোখ রাখলেই বুঝতে পারবেন, একটি অটোতে বসে রয়েছেন একজন চালক। যাঁর পরনের জ্যাকেটে লেখা আইআইএম-বি। লেখাটা চোখে পড়তেই চমকে যান অপূর্বা। জ্যাকেটে IIM-B লেখাটি পড়েই চালকের সঙ্গে আলাপ করতে আগ্রহী হন তিনি।
অপূর্বা জানতে পারেন, ওই অটোচালক বেঙ্গালুরু ইন্টারন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ ম্যানেজমেন্টের হস্টেলের একজন ফুলটাইম কর্মী। ইন্সটিটিউটের ছাত্ররা ভালোবেসে এই জ্যাকেটটি তাঁকে উপহার দিয়েছে। হস্টেলে কাজ করার পাশাপাশি, পার্ট টাইম অটো চালানোর কাজ করেন সংসারের জন্য আরও খানিকটা উপার্জন করতে। অটো চালকের জীবন বোধের গল্প অপূর্বার মন ছুঁয়ে যায়। বিষয়টি নিজের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে ভারচুয়াল দুনিয়ার বন্ধুদের জানাতে মোটেও দেরি করেননি তিনি। আর ইতিমধ্যেই সেই পোস্ট ভাইরাল।
সোশাল সাইটে বহু মানুষ ওই অটো ড্রাইভারের এই লড়াইকে অভিবাদন জানিয়েছেন। পাশাপাশি অপূর্বাকেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন অটো ড্রাইভারের অস্তিত্ব রক্ষার এই লড়াইয়ের কাহিনি সকলের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য। তাদের হস্টেলের একজন সাধারণ কর্মীর পাশে দাঁড়ানোর জন্য সাধুবাদ দিচ্ছেন আইআইএম বেঙ্গালুরুর পড়ুয়াদের। সব মিলিয়ে সামান্য এক অটোচালকের অসামান্য লড়াইয়ের গল্পে মন মজেছে নেটদুনিয়ার।
