সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১৯৪৭ সালে রাজনৈতিকভাবে ভারত স্বাধীন হলেও, দেশ প্রকৃত স্বাধীনতা পেয়েছে যেদিন অযোধ্যায় রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা হয়েছে। সম্প্রতি এমনি দাবি করলেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত। শুধু তাই নয় ভাগবতের দাবি, প্রাণপ্রতিষ্ঠার বিশেষ এই তিথিকে 'প্রতিষ্ঠা দ্বাদশী' হিসেবে পালন করা উচিত দেশবাসীর। আরএসএস প্রধানের এহেন মন্তব্য প্রকাশ্যে আসতেই বিতর্ক শুরু হয়েছে।
হিন্দু পঞ্জিকা অনুযায়ী অযোধ্যায় রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা হয়েছে গত বছর পৌষ মাসের শুক্লপক্ষের দ্বাদশী তিথিতে। ইংরেজির ২২ জানুয়ারি ২০২৪। বাংলা তারিখ অনুযায়ী, চলতি বছরের ১১ জানুয়ারি পড়েছিল বিশেষ এই দিন। সেই উপলক্ষেই সোমবার ইন্দোরে বিশেষ এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন মোহন ভাগবত। সেখানে রাম জন্মভূমি ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক চম্পত রাইয়ের হাতে অহল্যা পুরস্কার তুলে দেন ভাগবত। এরপর অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে উঠে তিনি বলেন, "আগে এই দিনটিকে বলা হত বৈকুন্ঠ দ্বাদশী। তবে এখন থেকে বিশেষ এই দিনকে আমাদের প্রতিষ্ঠা দ্বাদশী বলা উচিত। কারণ কয়েকশো বছর ধরে শত্রুর আক্রমণ সহ্য করা ভারত আসল স্বাধীনতা ওইদিন পেয়েছে। স্বাধীনতা ছিল কিন্তু তা প্রতিষ্ঠিত ছিল না।"
ভাগবত আরও বলেন, ''ভারত ১৫ আগস্ট স্বাধীনতা পেয়েছে কিন্তু তা রাজনৈতিক স্বাধীনতা ছিল। আমাদের ভাগ্য আমরা নিজেরাই গঠন করার অধিকার পেয়েছিলাম। আমরা সংবিধানও গঠন করি। ভারতের নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি থেকে সেই সংবিধান গঠিত হলেও কিন্তু তার ভুল ভাবধারার পথে হাঁটেনি। ফলে স্বপ্ন সত্যি হয়েছে তা কখনই বলা যায়নি।" তাঁর দাবি, "আক্রমণকারীরা দেশের মন্দির ভেঙেছিল কারণ তাঁদের উদ্দেশ্য ছিল ভারতের নিজস্ব ভাবনাকে ধ্বংস করা। রামমন্দির আন্দোলন কারও প্রতি বিরোধিতা ও বিদ্বেষ তৈরি করতে করা হয়নি, ভারতের নিজস্বতা ফিরিয়ে আনতে করা হয়েছিল। যাতে নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে ভারত বিশ্বকে পথ দেখাতে পারে।"
উল্লেখ্য, সম্প্রতি এই রামমন্দির নিয়ে রাজনীতির কারবারিদের বিরুদ্ধে কড়া ভাষায় আক্রমণ শানিয়েছিলেন মোহন ভাগবত। তিনি বলেন, 'রাম মন্দির নির্মাণের পর অনেকেই মন্দির-মসজিদ বিতর্ক উস্কে দিয়ে হিন্দুদের নেতা হওয়ার কথা ভাবছেন। এটা ঠিক নয়। আমাদের দেশে সম্প্রীতির পরিবেশ রয়েছে। আর সেটা গোটা বিশ্বকে দেখানো উচিত।'