সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পণবন্দী জওয়ানকে মুক্তি দিতে রাজি মাওবাদীরা। তবে সেই প্রক্রিয়া হবে মধ্যস্থতাকারীর মাধ্যমে। সরকারে মানতে হবে তাঁদের শর্ত। বিজাপুর সংঘর্ষের (Bijapur Encounter) পাঁচদিন পর বিবৃতি দিল মাওবাদীরা। বিবৃতিতে তাঁরা জানিয়েছেন, পুলিশ, জওয়ানদের সঙ্গে তাঁদের কোনও শত্রুতা নেই। তবে সরকারের বিরুদ্ধে এই লড়াই চলবে বলেই হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখল তাঁরা।
বিবৃতিতে সংঘর্ষে হতাহতের সংখ্যাও জানিয়েছে তাঁরা। মাওবাদীদের দাবি, ওই রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ২৪ জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। জখম হয়েছেন ৩১ জন। আরও এক কোবরা কমান্ডো পণবন্দি। তাদেরও চার সঙ্গীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানানো হয়েছে মাও সংগঠনের তরফে। বিবৃতি জারি করে তাঁদের দাবি, সরকারের সঙ্গে দর কষাকষিতে রাজি তারা। তবে তার আগে মধ্যস্থতারীর নাম জানাতে হবে সরকারকে। তবেই মুক্তি দেওয়া হবে বন্দি জওয়ানকে।
[আরও পড়ুন : চিনের সঙ্গে সামরিক জোট নয়, ভারতকে আশ্বস্ত করে বার্তা রুশ বিদেশমন্ত্রীর]
কেন্দ্রকে দেওয়া মাওবাদীদের জবাবে দাবি করা হয়েছে, তাদের লড়াই নিরাপত্তারক্ষীদের বিরুদ্ধে নয়। কিন্তু তাদের উপর আঘাত এলে, তারাও পালটা আঘাত হানবে। তাই পরিসংখ্যান তুলে দাবি করা হয়েছে, গত চার মাসে দেশের বিভিন্ন জায়গায় বাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ২৮ জন মাওবাদী। অভয়ের বিবৃতিতে দাবি, ‘আমাদের বিরুদ্ধে বন্দুক নিয়ে আক্রমণ হলে, আমরাও তৈরি আছি। কারণ, আমাদের রাষ্ট্র বিরোধিতা জারি থাকবে।’ মাওবাদীদের এই পাল্টা জবাবকে অবশ্য খুব বেশি আমল দিচ্ছে না কেন্দ্র। বরং সরকারি সূত্রে দাবি, ভয় পেয়েই নিরাপত্তারক্ষীদের উপর গত রবিবার একতরফা আক্রমণ করা হয়েছে। কিন্তু কীসের ভয় থেকে গত রবিবারের ঘটনা? গত চার বছরে ছত্তিশগড়ের মাওবাদী অধ্যুষিত বস্তার ও সুকমা অঞ্চলে ক্রমাগত ক্যাম্পের সংখ্যা বাড়িয়েছে কোবরা বাহিনী। ঘন জঙ্গলের ভিতরে প্রায় ৬০০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা ধীরে ধীরে নিজেদের দখলে নিয়েছে। মূলত বাহিনীর এই আগ্রাসনেই ওই এলাকা থেকে পিছু হঠতে বাধ্য হয়েছিল মাওবাদীরা।