সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে রায় অনুযায়ী, সব কটি মামলাই সরে গিয়েছে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Gangopadhyay) এজলাস থেকে। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে নতুন করে ব্যাখ্যা দিলেন বর্ষীয়ান আইনজীবী তথা সিপিএমের রাজ্যসভার সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য (Bikash Ranjan Bhattacharya)। সম্ভাব্য ব্যাখ্যা, শুধুমাত্র অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ইডি বা সিবিআইয়ের (CBI) জেরা সংক্রান্ত মামলাটিই সরল বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে। বাকি মামলা যেমন চলছিল, তেমনই চলবে। যদিও এই ব্যাখ্যার সময় তিনি বারবারই উল্লেখ করেছেন, ”যতদূর বুঝতে পারছি, তাতে ব্যাপারটা এরকম। তবে অর্ডার হাতে না পেলে সঠিকভাবে বলা যাচ্ছে না।”
নিয়োগ দুর্নীতিতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের হাতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তৃণমূল থেকে সাসপেন্ড হওয়া যুব নেতা কুন্তল ঘোষ (Kuntal Ghosh)। তিনি জেল হেফাজতে থাকাকালীন অভিযোগ তুলেছিলেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) নাম বলার জন্য তাঁকে চাপ দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। তাঁর এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সিবিআই, ইডি হাই কোর্টে আবেদন জানায়, অভিষেককেও তদন্তের আওতায় আনা উচিত। তাঁকে জেরার অনুমতি দিক আদালত। তাতে সায় দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।
[আরও পড়ুন: ফিল্মফেয়ারের মঞ্চে সেরা আলিয়া, রাজকুমার, শ্রেষ্ঠ গায়ক অরিজিৎ, দেখুন জয়ীদের তালিকা]
এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়। সেই স্থগিতাদেশের মেয়াদ ছিল ২৮ তারিখ অর্থাৎ শুক্রবার পর্যন্ত। বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যর মতে, সেই মামলাটিই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে অন্যত্র স্থানান্তরের কথা বলা হয়েছে, নিয়োগ সংক্রান্ত সব কটি মামলা নয়। এমনকী অভিষেককে জেরায় স্থগিতাদেশের মেয়াদও বাড়ানো হয়নি আর। তবে সুপ্রিম কোর্টের রায় ঠিক কী, সে বিষয়ে মতবিরোধ রয়েছে আইনজীবী মহলে। এদিকে, সুপ্রিম রায়ের পর কুণাল ঘোষের ইঙ্গিতপূর্ণ টুইট, ‘সব কা বিকাশ’ কাকে বলে, আজ প্রথম কেউ বুঝলেন!