সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিরোধী দলের প্রার্থীকে অপহরণ করল ক্ষমতাসীন দল। তারপরে জোর করে বন্দুক দেখিয়ে নির্বাচন থেকে নাম তুলে নিতে বাধ্য করা হল। চাপের মুখে প্রাণভয়ে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিলেন প্রার্থী। শুধু তাই নয়, গোটা ঘটনার পর থেকেই বেপাত্তা ওই প্রার্থী ও তাঁর পরিবার। গুজরাটে বিধানসভা নির্বাচনের (Gujarat Assembly Election) মাত্র কয়েকদিন আগেই প্রকাশ্যে এল এহেন চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। দলের প্রার্থীকে জোর করে মনোনয়ন তুলতে বাধ্য করেছে বিজেপি, এই অভিযোগ এনেছে আপ (AAP)।
সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়তেই ঘটনাটি প্রকাশ্যে এসেছে। সুরাট পূর্বের আপ প্রার্থী কাঞ্চন জরিওয়ালাকে অপহরণ করে মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে বাধ্য করা হয়েছে, এমন অভিযোগ জানিয়েছেন আপ নেতা রাঘব চাড্ডা। তাঁর অভিযোগ, মনোনয়ন জমা দিয়ে বেরনোর সময়েই কাঞ্চনকে অপহরণ করে বিজেপির (BJP) গুণ্ডারা। তারপরে একটি অজানা জায়গায় তাঁকে আটকে রাখা হয়।
[আরও পড়ুন: সাবালক হিসেবে বিচার হবে কাঠুয়া ধর্ষণ কাণ্ডে অভিযুক্তের, জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট]
পরের দিন বিপুল সংখ্যক পুলিশের নিরাপত্তায় মুড়ে কাঞ্চনকে নির্বাচনী আধিকারিকের অফিসে নিয়ে আসে বিজেপির গুণ্ডারা। প্রকাশ্যে আসা ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, প্রচুর মানুষের ভিড়ের মধ্যেই অফিসে ঢুকছেন কাঞ্চন। তবে এর বেশি কিছু দেখা যায়নি ভিডিওটিতে। আপ নেতৃত্বের অভিযোগ, চাপের মুখে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন ওই প্রার্থী। তারপর থেকেই তাঁর আর কোনও খোঁজ মিলছে না। ফোনে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। বাড়িতেও তালা ঝুলছে।
গোটা ঘটনার বিষয়ে টুইট করে রাঘব চাড্ডা বলেছেন, ‘মুক্ত নির্বাচন’ শব্দটিকে হাসির খোরাক করে তোলা হয়েছে। দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া বলেছেন, “নির্বাচনে গোহারা হারবে বিজেপি। তাই ভয় পেয়ে প্রার্থীকে অপহরণ করে মনোনয়ন প্রত্যাহার করাচ্ছে।” অন্যদিকে বিজেপি দাবি করেছে, টাকার বিনিময়ে মনোনয়ন প্রত্যাহার করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন এক আপ নেতা। তবে দু’পক্ষের তরফেই সরকারি ভাবে কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।