নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে এটাই ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রথম বৈঠক। কিন্তু সেই বৈঠক আশানুরূপ হয়নি। মমতার অভিযোগ, করোনা (Coronavirus) সংক্রান্ত ভারচুয়াল বৈঠকে একটি কথাও বলার সুযোগ দেওয়া হয়নি মুখ্যমন্ত্রীদের। এত গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় নিয়ে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর কেন এমন গাছাড়া ভাব? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মমতা। তাঁর সাফ কথা, এভাবে মুখ্যমন্ত্রীদের ডেকে এনে অপমান করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এবার মুখ্যমন্ত্রীর এই অভিযোগের পালটা এল বিজেপি শিবির থেকে। তৃণমূল সুপ্রিমোর বিরুদ্ধে অহেতুক রাজনীতি করার অভিযোগ তুলে সরব হলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশংকর প্রসাদ। মমতাকে তোপ দাগলেন এরাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও (Suvendu Adhikari)।
রবিশংকর প্রসাদ বলছেন, “আজকের প্রধানমন্ত্রী এবং জেলাশাসকদের বৈঠক ছিল ভাল কাজ নিয়ে আলোচনা করার জন্য। সেটা নিয়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী যা করলেন, তা অশোভনীয়। গোটা আলোচনাটাকে বিপথে চালনা করার চেষ্টা করেছেন তিনি। আজকে মমতাজি উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসককে বলতে পর্যন্ত দেননি।” কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর তোপ, ১৭ মার্চ প্রধানমন্ত্রী মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে বৈঠক ডেকেছিলেন, তাতেও মমতা আসেননি। এর আগে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ২০১৪, ২০১৫, এবং ২০১৯-এর বৈঠকেও উনি আসেননি। ওঁর কাছে আমার প্রশ্ন, যে সমস্ত জেলাশাসক ভাল কাজ করছেন, দেশের প্রধানমন্ত্রী কি তাঁদের সঙ্গে কথাও বলতে পারেন না! এ প্রসঙ্গে, মুখ্যমন্ত্রী অবশ্য আগেই জানিয়েছেন, বৈঠকে যেহেতু তিনি নিজে উপস্থিত ছিলেন, তাই জেলাশাসকদের সামনে আনা হয়নি।
[আরও পড়ুন: অতিমারীর মধ্যেই রাজস্থানের পর ব্ল্যাক ফাঙ্গাস সংক্রমণকে মহামারী ঘোষণা তেলেঙ্গানারও]
রবিশংকর প্রসাদের (Ravi Shankar Prasad) পাশাপাশি এরাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও মুখ্যমন্ত্রীকে বিঁধেছেন। টুইটে শুভেন্দু বলছেন,”প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জেলাশাসকদের আলোচনায় যে আচরণ মমতা করলেন, সেটা লজ্জাজনক। এর মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বহু বৈঠক প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি করেছেন। কিন্তু তিনি কটা বৈঠকে হাজির ছিলেন? শূন্যটা। আজ যে সাতজন জেলাশাসকের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী কথা বলেছেন, তাঁদের মধ্যে পাঁচজন অবিজেপি রাজ্যের। কেন্দ্র ও রাজ্যের সমন্বয়ের প্রতি প্রধানমন্ত্রী দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।”