বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: আগামী বছর ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির দায়িত্ব ছাড়তে চলেছেন জেপি নাড্ডা। তাঁর জায়গায় মোদি মন্ত্রিসভার কোনও সদস্য অথবা দলের সাধারণ সম্পাদকদের মধ্যে কেউ দায়িত্ব গ্রহণ করতে পারে বলে গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর। দলের এক শীর্ষ নেতা জানান, সদস্যপদ গ্রহণের পাশাপাশি বিভিন্ন রাজ্যে নিচুতলায় অর্থাৎ মণ্ডলস্তরে নির্বাচন শুরু হয়ে গিয়েছে। জানুয়ারি মাসের মধ্যে সাংগাঠনিক স্থরে নির্বাচন শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।
দলের সংবিধান অনুসারে সর্বভারতীয় সভাপতি নিবর্বাচনের আগে রাজ্যস্তরে নির্বাচন শেষ করতে হবে। যেহেতু ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে নয়া সভাপতি নির্বাচনের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে তাই নিচুতলায় সাংগাঠনিক নির্বাচন শুরু করে দেওয়া হয়েছে। কারন সংবিধান অনুযায়ী সর্বভারতীয় সভাপতি নির্বাচনের আগে কমপক্ষে ৪০ শতাংশ রাজ্যে সাংগাঠনিক নির্বাচন শেষ করতেই হবে। কিন্তু নাড্ডার জায়গায় পরর্বতী সভাপতি কে হতে পারেন, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি বলে সূত্রটি জানাচ্ছে। তবে মোদি মন্ত্রীসভা অথবা সংগঠনের শীর্ষে থাকা কেউ দায়িত্ব পেতে পারেন। কোনওটাই অসম্ভব নয়।
একটা সময় বিজেপি সভাপতি হওয়ার দৌড়ে শিবরাজ সিং চৌহান, মনোহরলাল খাট্টার, ভুপেন্দ্র যাদবদের নাম শোনা গিয়েছিল। পরে তাঁরা প্রত্যেকেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হয়েছেন। বিজেপির অঘোষিত নীতি বলে, দলের সংগঠনে বড় পদের কেউ মন্ত্রিসভায় থাকেন না। সেই সূত্র মেনে সভাপতি পদ ছাড়তে হয়েছিল অমিত শাহকেও। কিন্তু এবার শোনা যাচ্ছে মন্ত্রিসভার কোনও সদস্যই বিজেপির সভাপতি হতে পারেন। সেক্ষেত্রে পরে তাঁকে মন্ত্রীপদ ছাড়তে হতে পারে।
শোনা যাচ্ছে, চৌহান, খাট্টারদের পরে বিজেপি সভাপতি হওয়ার দৌড়ে ঢুকে পড়েছেন গুজরাট বিজেপি সভাপতি সিআর পাটিলও। পাতিলের নাম অবশ্য গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির জয়ের পর থেকেই ভাসছিল। লোকসভা নির্বাচনেও গুজরাটে বিজেপি ২৬টি আসনের মধ্যে ২৫টি পেয়েছে। সেই কৃতিত্বও পাতিলের ঝুলিতে গিয়েছে। যা তাঁকে সভাপতি পদের দৌড়ে এগিয়ে রেখেছে বলেই মনে করা হচ্ছে। তাছাড়া প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং অমিত শাহর পছন্দের লোক বলেও পরিচিতি রয়েছে পাতিলের।