সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে করবা চৌথ (Karva Chauth festival)। চলবে শুক্রবার পর্যন্ত। তার আগেই উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) মুজফফরনগর (Muzaffarnagar) এলাকায় হিন্দু মহাসভা হুমকি দিল, মুসলিম মেহেন্দি শিল্পীরা হিন্দু মেয়েদের হাতে যেন মেহেন্দি না লাগান। শুধু তাই নয়, রীতিমতো মেহেন্দির দোকান খুলে সেখানে হিন্দু শিল্পীদের নিযুক্ত করার পদক্ষেপও করেছে কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠনটি।
বিজেপি বিধায়ক বিক্রম সাইনির দাবি, তরুণ মুসলিম মেহেন্দি শিল্পীরা দোকান খোলেন অন্য ‘উদ্দেশ্যে’। আসলে লাভ জেহাদের লক্ষ্যেই তাঁরা এই ব্যবসায় আসেন। তাঁর কথায়, ”মেহেন্দির আড়ালে ওঁরা লাভ জেহাদ করেন। এরকম অনেক উদাহরণ রয়েছে। হিন্দু মহিলাদের আমার অনুরোধ, ঘরে হোক বা বিউটি পার্লারে, নিজের সম্প্রদায়ের শিল্পীদেরই সহায়তা নিতে।”
[আরও পড়ুন: হাই কোর্টে বড় ধাক্কা, গান্ধীমূর্তির পাদদেশে আর ধরনা দিতে পারবে না ২০১৪’র টেট উত্তীর্ণরা]
ইতিমধ্যেই বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ১৩টি মেহেন্দির দোকান খুলে ফেলেছে এলাকায়। পাশাপাশি সদস্যদের নির্দেশ দিয়েছে, ওই দোকানগুলিতে কোনও ভাবেই যেন কোনও মুসলিম কর্মী কাজ না পান। আর সেজন্য সকলের আধার কার্ড খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছে পরিষদ। স্বাভাবিক ভাবেই এমন ঘটনায় বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।
যদিও হিন্দু মহাসভার আরেক সদস্য লোকেশ সাইনির দাবি, এই পদক্ষেপের পিছনে উদ্দেশ্য একটাই। লাভ জেহাদের ফাঁদে যাতে কেউ পা না দেন, তা নিশ্চিত করতেই তাঁরা এমন পদক্ষেপ করছেন। তাঁর মতে, যাঁরা করবা চৌথের গুরুত্ব বোঝেন তাঁদের কাছেই গিয়ে মেহেন্দি করানো উচিত হিন্দু মহিলাদের। এর আগে ২০২১ সালেও এই ধরনের বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছিল মুজফফরনগরে। সেবার এক হিন্দু তরুণীকে মুসলিম শিল্পীর মেহেন্দি পরানো নিয়ে প্রতিবাদ করায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল একদল যুবকের বিরুদ্ধে।