সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারত বনধ নিয়ে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তোপ দাগল বিজেপি। শাসকদলের অভিযোগ, বনধ ডেকে দেশের অগ্রগতি থামিয়ে দিতে চাইছে রাহুল-সনিয়ার দল। জনতার উন্নয়ন নয়, শুধুমাত্র রাজনৈতিক উদ্দেশ্য পূরণে এককাট্টা হয়েছে বিরোধী দলগুলি।
[কয়েকটি জেলায় বিক্ষিপ্ত অশান্তি, রাজ্যে সচল জনজীবন]
পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে সোমবার ভারত বনধের কর্মসূচি নিয়েছে কংগ্রেস ও বাম দলগুলি। তাদের সমর্থন করেছে আরজেডি, বিএসপি-সহ ১৭টি বিরোধী দল। যাদের মধ্যেই অনেকগুলিই আঞ্চলিক। দিল্লিতে প্রতিবাদ মিছিলের নেতৃত্ব দিয়েছেন খোদ কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। পশ্চিমবঙ্গে সেভাবে সাড়া না মিললেও, দেশজুড়ে ভালই প্রভাব পড়েছে বনধের। অনেক জায়গাতেই রাস্তায় টায়ার পোড়ায় বনধ সমর্থকরা। ভাঙচুর চালানো হয় বেশ কয়েকটি দোকানেও। একাধিক জায়গায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয় বিক্ষোভকারীরা। থামিয়ে দেওয়া হয় একাধিক ট্রেনও। ফলে চরম হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।
এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে কংগ্রেসের কড়া সমালোচনা করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশংকর প্রসাদ। তিনি বলেন, “গণতান্ত্রিক অধিকারের নাম দেশজুড়ে অরাজকতা চলছে। বাস, পেট্রল পাম্পে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বিহারে মিছিলে অ্যাম্বুল্যান্স আটকে যাওয়ায় প্রাণ হারিয়েছে দু’বছরের শিশু। এর দায় কে নেবে?” এদিন বিরোধীদের তুলোধোনা করেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নকভি। বনধের বিরোধিতা করে যোগী বলেন, “বিরোধীদের না নীতি আছে না নেতৃত্ব। তাদের কাছে এর বেশি আর কী আশা করা যায়। ঈশ্বর তাদের সুমতি দিক।” নকভির মন্তব্য, বনধ নাকচ করে এগিয়ে যাবে ভারত। বিরোধীদের ‘মহাজোট’ বেলুনের মতোই ফেটে যাবে।
এদিন স্বাভাবিকভাবেই বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চরিয়েছেন রাহুল। দিল্লিতে তাঁর হুঙ্কার ,সমস্ত বিরোধীরা আজ এককাট্টা। সবাই মিলে বিজেপিকে মসনদ থেকে সরিয়ে দেবে। জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর নীরবতাকে কাঠগড়ায় তুললেও, দেশজুড়ে চলা হিংসার ঘটনা নিয়ে নিজেই নীরব রইলেন কংগ্রেসের যুবরাজ। এদিন মধ্যপ্রদেশে একটি পেট্রল পাম্পেও আগুন দেয় কং কর্মীরা। মহারাষ্ট্রে জোর করে দোকানপাট বন্ধ করিয়ে দেয় রাজ ঠাকরের এমএনএস। পাটনায় একাধিক গাড়িতে ভাঙচুর চালায় জন অধিকার পার্টির সদস্যরা। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, শুধু কংগ্রেসের আহ্বানে নয়, বিজেপির বিরোধিতা করতেই বনধে সমর্থন দিয়েছে অনেক আঞ্চলিক দল। তবে পেট্রোপণ্যের দাম হ্রাস হোক বা নাই হোক, দিনের শেষে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সাধারণ মানুষ।
[জ্বালানি জ্বালা মেটাতে পথে রাহুল, ‘বনধের বন্ধক’ জনতা]
The post বনধ করেও দেশের ‘বিকাশ’ বন্ধ করা যাবে না, কংগ্রেসকে তোপ বিজেপির appeared first on Sangbad Pratidin.