সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নতুন বছরে ত্রিপুরায় বিধানসভা ভোট (Tripura Assembly Poll)। আর তার আগে একের পর এক মন্ত্রী-বিধায়ক দল ছাড়ায় উত্তর-পূর্ব ভারতের এই রাজ্যে চাপে গেরুয়া শিবির। নিজেদের পালে হাওয়া টানতে নতুন বছরের শুরুতেই ত্রিপুরায় ‘রথযাত্রা’র আয়োজন করেছে পদ্মশিবির। কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি একা নন, কর্মসূচিতে যোগ দেবেন আরও ১০ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী-সহ বিজেপিশাসিত একাধিক রাজ্য়ের মুখ্যমন্ত্রীরাও।
নতুন বছরের প্রথমভাগেই ত্রিপুরার নির্বাচন। তার আগে বেশ চাপে গেরুয়া শিবির। একে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জর্জ্জরিত ত্রিপুরা বিজেপি (BJP)। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে মাঝপথে মুখ্যমন্ত্রী বদল করতে হয়েছে তাদের। তাতেও অবশ্য বিশেষ লাভ হয়নি। দল ছেড়েছেন একাধিক বিধায়ক ও জোটসঙ্গীরা। উলটোদিকে শক্তি বাড়িয়েছে বিরোধীরা। কংগ্রেস-বামেরা জোট করেছে। শক্তি বাড়িয়েছে তৃণমূল। আবার উপজাতিদের মধ্য়ে জনপ্রিয়তা বেড়েছে তিপ্রা মোথার। সবমিলিয়ে ত্রিপুরায় ক্ষমতায় ফেরা নিয়ে সন্দিগ্ধ গেরুয়া শিবির। তাই ভোটের আগে সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপাতে চাইছে তারা।
[আরও পড়ুন: ফের সমবায় ভোটে তৃণমূলের জয়জয়কার, কোলাঘাটে খাতাই খুলতে পারল না বিজেপি-সিপিএম]
ত্রিপুরার স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব সূত্রে খবর, ৫ জানুয়ারি থেকে সে রাজ্যে রথযাত্রা শুরু করতে চলেছে বিজেপি। ৮ দিনের কর্মসূচি শেষ হবে ১২ জানুয়ারি। রথযাত্রার উদ্বোধন করবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং শেষদিন যোগ দেবেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। রাজ্য়ের ৬০টি বিধানসভায় চলবে ‘জন বিশ্বাস যাত্রা’। ত্রিপুরার বিজেপি সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, রথযাত্রা কর্মসূচির নাম রাখা হয়েছে জন বিশ্বাস যাত্রা। প্রায় ১০ লক্ষ মানুষ এতে যোগ দেবেন বলে মনে করছে দলীয় নেতৃত্ব। এই কর্মসূচি চলাকালীন ত্রিপুরার ৬০ বিধানসভা কেন্দ্রে ২০০ পদযাত্রা এবং ১০০টি শোভাযাত্রার আয়োজন করা হবে। যেখানে কেন্দ্র ও রাজ্য়ের উন্নয়নের ফিরিস্তি তুলে ধরা হবে।
শুধু কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব নয়, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ড. মানিক সাহা, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লবকুমার দেব, উপ-মুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণু দেববর্মাও বক্তব্য় রাখবেন। সবমিলিয়ে ত্রিপুরায় ভোটের আগে সর্বস্ব ক্ষমতা নিয়ে ঝাঁপাতে চলেছে বিজেপি।