বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত, নয়াদিল্লি: নিজেরা এক হতে পারছেন না। ঐক্যবদ্ধ না হলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সঙ্গে লড়াই করে জয়ী হওয়া অসম্ভব। আগে দলের ঐক্য ফেরান। একসঙ্গে কাজ করুন। আর দলের পুরনো কর্মীদের অভিমান ভুলে কাজে নামার আহ্বান জানান। বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে নির্দেশ দিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amiit Shah)।
মঙ্গলবার সংসদে আচমকাই সুকান্তকে ডেকে পাঠান শাহ। সাংসদ সৌমিত্র খাঁকে সঙ্গে নিয়ে শাহর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি। বঙ্গের গেরুয়া শিবির যে আড়াআড়ি ভাগ হয়ে রয়েছে তা অজানা নয় বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের। রাজ্য সভাপতি ও বিরোধী দলনেতার সমীকরণও জানেন অমিত শাহ ও জেপি নাড্ডারা (JP Nadda)। বাংলায় দলের গোষ্ঠীকোন্দল মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের।
[আরও পড়ুন: ‘আমাদের জেলে পাঠান, অন্তত উপোস করতে হবে না’, আদালতে আরজি গ্রুপ সি’র চাকরিহারাদের]
এর মধ্যে বুথ সশক্তিকরণ অভিযান চলছে। কতো সংখ্যক বুথে পৌঁছনো সম্ভব হয়েছে রাজ্য নেতৃত্বকে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে দিল্লি। কারণ দরজায় কড়া নাড়ছে পঞ্চায়েত ভোট। গ্রামের ভোটে ছাপ ফেলতে না পারলে লোকসভাতেও ডুবতে হবে। এদিন সুকান্ত-সৌমিত্রকে (Soumitra Khan) সেটাই বুঝিয়ে দিয়েছেন শাহ বলে সূত্রের খবর। এছাড়াও পঞ্চায়েত ভোটে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত কত সংখ্যক বুথে প্রার্থী দেওয়া সম্ভব। প্রার্থী বাছাইয়ের প্রক্রিয়া নিয়ে তাঁদের মধ্যে কথা হয় বলে সূত্রের খবর।
[আরও পড়ুন: সল্টলেকে গড়ে উঠবে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার, সাক্ষরিত মউ, কী কী সুবিধা পাবে কলকাতা?]
তবে অমিত শাহর সঙ্গে বৈঠকের বিষয় সম্পর্কে সুকান্ত মজুমদারকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানান, দু’জন রাজনৈতিক নেতা মুখোমুখি হলে যে ধরনের কথাবার্তা হতে পারে তাই হয়েছে। সাংগাঠনিক বিষয় নিয়ে জানতে চেয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী।