সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যোগী আদিত্যনাথের পর এবার স্মৃতি ইরানি। ফের ঘুরিয়ে কাশ্মীরের সঙ্গে বাংলার তুলনা টানলেন এক বিজেপি নেতা। স্মৃতির বক্তব্য, কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে বিজেপি (BJP) কর্মীদের লড়তে হচ্ছে। তেমনি বাংলা এবং কেরলে বিজেপি কর্মীদের নৃশংসভাবে খুন করা হচ্ছে।
শনিবার হায়দরাবাদে শুরু হয়েছে বিজেপির কর্মসমিতির বৈঠক। এদিন দুপুরে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (JP Nadda) সেই বৈঠকের উদ্বোধন করেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) থেকে শুরু করে একঝাঁক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, বিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, উপমুখ্যমন্ত্রী, দেশের সমস্ত রাজ্যের বিজেপি সভাপতি, বিরোধী দলনেতা-সহ দলের কর্মসমিতির সদস্যরা এই বৈঠকে উপস্থিত আছেন। নাড্ডার সূচনার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েই বাংলার প্রতি ‘অবমাননাকর’ মন্তব্য করেন স্মৃতি ইরানি।
[আরও পড়ুন: বিনা যুদ্ধে হার মানা নয়, স্পিকার নির্বাচনে শিণ্ডেদের বিরুদ্ধে প্রার্থী দিল উদ্ধব সেনা]
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, বাংলা এবং কেরলে বিজেপি (BJP) কর্মীদের হেনস্তা করা হচ্ছে। মেরে ফেলা হচ্ছে। আর জম্মু-কাশ্মীরে বিজেপি কর্মীদের লড়তে হচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে যারা দেশকে টুকরো টুকরো করে দিতে চায়। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি এদের সবাইকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে বিজেপির গঠনমূলক রাজনীতি নিয়ে আলোচনা করেছেন। এই মন্তব্যের মাধ্যমে আসলে স্মৃতি ঘুরিয়ে বাংলা এবং কেরলকে কটাক্ষই করেছেন। এর আগে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথও (Yogi Adityanath) একইভাবে বাংলাকে অপমান করেছিলেন। যা নিয়ে পরে বাংলার সব রাজনৈতিক দল একযোগে সরব হয়।
[আরও পড়ুন: আদালত চত্বরে উদয়পুর হত্যাকাণ্ডের অভিযুক্তদের দেখেই ঝাঁপিয়ে পড়ল জনতা, ছিঁড়ে নেওয়া হল জামা ]
প্রসঙ্গত, বাংলার পাশাপাশি এদিন তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কেসিআরকেও নিশানা করেন স্মৃতি। শনিবার দুপুরে হায়দরাবাদের বেগমপেট বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে অভ্যর্থনা জানাতে হাজির ছিলেন না কেসিআর। অথচ তার ঠিক দু-ঘন্টা আগেই বিরোধী শিবিরের রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী যশবন্ত সিনহাকে (Yashwant Sinha) একই জায়গা থেকে সপুত্র অভ্যর্থনা জানিয়ে সঙ্গে করে নিয়ে প্রচারের জন্য নিয়ে যান তিনি। যা নিয়ে কেসিআরকেও বিঁধেছেন স্মৃতি। তিনি বলেন,”কেসিআরের আচরণ খুবই দুর্ভাগ্যজনক। তিনি শুধুমাত্র সাংবিধানিক পদের অমর্যাদা করেছেন তাই নয়, ভারতীয় সংষ্কৃতি ও সামাজিক ব্যবস্থারও অপমান করেছেন। তিনি একথা ভুলে গিয়েছেন যে প্রধানমন্ত্রী পদটি কোনেও ব্যক্তি নয়, প্রতিষ্ঠান।”