সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণের সময় ভেঙে পড়ল অত্যাধুনিক ব্রহ্মস মিসাইল (Brahmos Missile)। সাম্প্রতিক ইতিহাসে ভারতের তৈরি এই অত্যাধুনিক সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইলটি পরীক্ষায় ব্যর্থ হওয়ার ঘটনা খুব কমই ঘটেছে।
[আরও পড়ুন: NEET’এর নয়া সময়সূচি ঘোষণা করল শিক্ষামন্ত্রক, আবেদন প্রক্রিয়া শুরু কবে?]
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, সোমবার ওড়িশা উপকূল থেকে ব্রহ্মস মিসাইলের একটি নতুন সংস্করণের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করা হয়। প্রায় ৪৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত আঘাত হানতে সক্ষম এই ক্ষেপণাস্ত্রটি। সেইমতো এর ক্ষমতা পরীক্ষা করে ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা (DRDO)। সূত্রের খবর, ক্ষেপণাস্ত্রটির ইঞ্জিন বা প্রপালসন সিস্টেমে যান্ত্রিক ত্রুটির জন্যই এই দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। সংস্থাটির এক আধিকারিককে উদ্ধৃত করে এএনআই জানিয়েছে, উৎক্ষেপণের কিছুক্ষণের মধ্যেই ভেঙে পড়ে মিসাইলটি। ফলে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে আঘাত হানতে বিফল হয় ক্ষেপণাস্ত্রটি। এই ঘটনার নেপথ্যে কী কারণ রয়েছে তা জানতে ডিআরডিও এবং ব্রহ্মস এরোস্পেস যৌথভাবে তদন্ত করবে। প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের মতে, ব্রহ্মস অত্যন্ত সক্ষম এবং ভরসা করার মতো একটি ক্ষেপণাস্ত্র। ফলে এহেন বিরল ঘটনায় এর কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোনও কারণ নেই।
উল্লেখ্য, ভারত ও রাশিয়া যৌথভাবে ব্রহ্মস মিসাইল তৈরি করেছে। চিনের সঙ্গে ক্রমে বেড়ে চলা সংঘাতের গত বছর বিমান থেকে নিক্ষেপযোগ্য ব্রহ্মস ক্রুজ মিসাইলকে যুদ্ধে ব্যবহারের জন্য সবুজ সঙ্কেত দেয় সরকার। এর ফলে নিরাপদ দূরত্ব থেকে চিনা সামরিক ঘাঁটি বা বিমান গুঁড়িয়ে দিতে পারবে ভারতীয় বায়ুসেনা। ব্রহ্মস ঘণ্টায় ৩৭০০ কিলোমিটার বেগে ছুটে গিয়ে আঘাত হানে লক্ষ্যবস্তুতে। এই ক্ষেপণাস্ত্রের নিশানা নিখুঁত। ২০০৬ সালে স্থলসেনা ও নৌসেনার অস্ত্র ভাণ্ডারে যুক্ত হয় এটি। প্রাথমিকভাবে এর মারণ ক্ষমতা ২৯০ কিলোমিটার থাকলেও পড়ে তা ৪৫০ কিমি পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়। ভারত (India) ও রাশিয়া (Russia) যৌথভাবে ব্রহ্মস তৈরি করে ফেলার পর গোটা বিশ্বের সমর বিশারদদের নজর কেড়ে নিয়েছে এই ক্রুজ মিসাইল। কয়েক দিন আগে জানা গিয়েছিল, ফিলিপন্সকে যৌথভাবে ব্রহ্মসের জোগান দিতে চলেছে দুই দেশ। শুধু ফিলিপিন্স নয়, ইন্দোনেশিয়া-সহ মধ্য এশিয়ার একাধিক দেশকেও এই মিসাইলটি দেওয়া হবে।