সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রতিশ্রুতি রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সিএএ (CAA) কার্যকর হওয়ার পরে এভাবেই উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলেন পাকিস্তানি বধূ সীমা হায়দার। নয়া আইন কার্যকর হওয়ার ফলে নাগরিকত্ব নিয়ে সমস্ত জটিলতাও দ্রুত কেটে যাবে বলেও আশাবাদী তিনি।
সোমবার কার্যকর হয়েছে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন। তার পরেই সীমা (Seema Haider) বলেন, “আমাদের দেশে আজ সিএএ কার্যকর করেছে সরকার। আমি খুবই খুশি। মোদিজি (Narendra Modi) যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে কথা রেখেছেন। সারাজীবন তাঁর কাছে কৃতজ্ঞ থাকব। সারাজীবন ধন্যবাদ দেব। এই আইনের জন্যই আমার নাগরিকত্ব পাওয়া নিয়ে সব জট কেটে যাবে।” ভিডিও মেসেজে এই বার্তা দেওয়ার পরে ‘জয় শ্রীরাম’, ‘ভারত মাতা কি জয়’ স্লোগানও তোলেন পাকিস্তানি বধূ সীমা।
[আরও পড়ুন: হরিয়ানায় মহানাটক! ‘শরিকি কোন্দলে’ ইস্তফা মুখ্যমন্ত্রী খাট্টারের]
কিন্তু সিএএ থেকে এখনই সরাসরিভাবে লাভবান হতে পারবেন না সীমা হায়দার। কারণ আইন অনুযায়ী, ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এদেশে আসা ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে নির্যাতিত শরণার্থীরা ভিসা বা পাসপোর্টের মতো নথি না থাকলেও ভারতীয় নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন। প্রতিবেশী পাকিস্তান, আফগানিস্তান আর বাংলাদেশ থেকে ভারতে এলে তবেই আবেদন করতে পারবেন শরণার্থীরা। তবে এই সুবিধা কেবল অমুসলিমদের জন্য। ফলে পাকিস্তান থেকে ভারতে এলেও আইনের সুবিধা পাবেন না সীমা।
২০২৩ সালের জুন মাসে পাকিস্তান থেকে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে এসেছিলেন তিনি। ভারতীয় যুবক শচীন মিনার প্রেমে পড়ে তাঁকে বিয়ে করতেই সীমান্ত পেরিয়েছিলেন। পাবজি খেলতে গিয়ে ভারতীয় যুবক শচীনের সঙ্গে আলাপ হয় পাকিস্তানি (Pakistan) বধূ সীমার। সেই আলাপ প্রেমে গড়াতেই চার সন্তানকে নিয়ে নেপাল ঘুরে বেআইনিভাবে ভারতে চলে আসেন তিনি। অবৈধভাবে ভারতে আসার অভিযোগে সীমাকে ৪ জুলাই গ্রেপ্তার করা হয়। পরে জামিন পেয়ে শচীনকে বিয়ে করেন। তবে এখনও তদন্ত চলছে সীমার বিরুদ্ধে।