সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ধনকুবের বোধহয় একেই বলে। পেশায় ছিলেন সামান্য সরকারি কর্মী, অথচ দেশজুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে তার কোটি কোটি টাকার সম্পতি। যার অধিকাংশই বেআইনি উপায়ে অর্জিত। বহির্ভূত সম্পত্তির অভিযোগে গত সোমবার পিডব্লুডির প্রাক্তন ইঞ্জিনিয়রের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল দুর্নীতি দমন শাখা। সেখানে নগদ টাকাতো বটেই, অভিযুক্তের সম্পত্তির বহর দেখে চোখ কপালে উঠল তদন্তকারীদের।
দুর্নীতি দমন শাখার তরফে জানানো হয়েছে, অভিযুক্ত ওই সরকারি কর্মীর নাম রিয়াজ আহমেদ পারায়। তিনি জম্মু ও কাশ্মীর পিডব্লুডি দপ্তরের প্রাক্তন কর্মী ছিলেন। বারামুল্লার বাসিন্দা রিয়াজের বিপুল সম্পত্তি খোঁজ পেয়ে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযানে নেমেছিল দুর্নীতি দমন শাখা। দিল্লি, জম্মু ও কাশ্মীর-সহ অভিযুক্তের একাধিক ঠিকানায় তল্লাশি চালানো হয়। এই অভিযানে তাঁর বারামুল্লার বাড়ি থেকে ৫০০ টাকার বান্ডিলে নোটের পাহাড় উদ্ধার হয়। পাশাপাশি তার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির হিসেবও বিশাল।
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, বারামুল্লার হায়গাম, শ্রীনগর, জম্মু ও দিল্লি-সহ একাধিক জায়গায় বিপুল পরিমাণ জমি-বাড়ি রয়েছে তাঁর। দিল্লিতে রিয়াজের দুটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট রয়েছে, জম্মু, সোপর, শ্রীনগরে রয়েছে বিশাল বিশাল বাড়ি। সোপরে রয়েছে নিজস্ব একটি শপিং কমপ্লেক্স। এখানেই শেষ নয়, ১২ বিঘার বেশি জমি রয়েছে বারামুল্লাতে। নিজস্ব ব্যবহারের জন্য রয়েছে ৪টি বিলাসবহুল গাড়ি। এছাড়াও ব্যাঙ্কে রিয়াজের ফিক্সড ডিপোজিট রয়েছে ৮৮ লক্ষ টাকার, ৩৫ লক্ষ টাকার বিমা, ১০ লক্ষ টাকার স্বাস্থ্য বিমা রয়েছে অভিযুক্তের।
দুর্নীতি দমন শাখার তরফে জানানো হয়েছে, তদন্তে দেখা গিয়েছে অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি সরকারি কর্মী হিসেবে কাজ করার সময় অবৈধভাবে এই বিপুল সম্পত্তি বানিয়েছেন। এই আয়ের উৎস জানতে অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। দেশের আর কোথাও বেনামে অভিযুক্তের কোনও সম্পত্তি রয়েছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখছি আমরা।