সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিল্লি হাই কোর্টের বিচারপতি যশবন্ত বর্মার বাড়িতে প্রচুর নগদ উদ্ধারের ঘটনায় নয়া মোড়। ২০১৮ সালের একটি মামলায় সিবিআইয়ের এফআইয়ারের তালিকায় নাম ছিল এই বিচারপতির। একটি চিনিকলের বিরুদ্ধে ঋণখেলাপ করার অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। ওই সংস্থার অন্যতম কর্তা ছিলেন বিচারপতি বর্মা। ফলে মামলায় তাঁর বিরুদ্ধেও এফআইআর দায়ের করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

ঘটনাটি ২০১২ সালের। ওই বছর ওরিয়েন্টাল ব্যাঙ্ক অফ কমার্স ৫,৭৬২ জন কৃষককে ১৪৯.৫৯ কোটি টাকা ঋণ দেয়। সার এবং বীজ কেনার জন্য সেই ঋণ দেওয়া হয়েছিল। ঋণের চুক্তি অনুযায়ী তৃতীয় পার্টি হয়েছিল সিমভাওলি চিনিকল। শর্ত অনুযায়ী তাদেরই ঋণ পরিশোধ করার কথা ছিল। ২০১৫ সালের মার্চে ব্যাঙ্কের তরফে জানানো হয়েছে হয় যে তাদের সঙ্গে প্রতারণা হয়েছে। ওই ঋণ ভুয়ো ছিল। তারা ৯৭.৮৫ কোটি টাকা খুইয়েছে। ভুয়ো কেওয়াইসি বা গ্রাহকের বিষয়ে নথি জমা দিয়েছিল চিনিকল কর্তৃপক্ষ।
এলাহাবাদ হাই কোর্টের নির্দেশে ২০২৪ সালে নতুন করে সিমভাওলি চিনিকলের ব্যাঙ্ক প্রতারণার তদন্ত শুরু করে সিবিআই। যদিও ওই বছরই উচ্চ আদালতের রায়ে স্থগিতাদেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। উল্লেখ্য, অভিযুক্ত চিনিকল সংস্থার ডেপুটি ডিরেক্টর পাঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিংয়ের জামাই গুরপাল সিং। তাঁর বিরুদ্ধেও অভিযোগ আনে সিবিআই।
হাই কোর্টের নির্দেশে তদন্ত চলাকালীন একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে। প্রশ্ন ওঠে, কীভাবে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার নীতি না মেনে ওই সংস্থাকে সর্বমোট ৯০০ কোটি টাকার ঋণ পাইয়ে দেওয়া হল? এই ঘটনায় আঙুল ওঠে ব্যাঙ্কের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে।
প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহেই আগুন লাগে বিচারপতি যশবন্ত বর্মার বাড়িতে। যদিও তিনি সেই সময় বাড়িতে ছিলেন না। তাঁর বাড়ির লোকেদের দেওয়া খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে হাজির দমকল। আগুন নেভানোর সময়ই তাঁরা বিচারপতির বাড়িতে প্রচুর নগদের হদিশ পান। খবর যায় পুলিশের কাছে। এই বিপুল নগদ কোথা থেকে এল সেই প্রশ্ন করা হলে বিচারপতির পরিবারের কেউই কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি। একই ভাবে বিচারপতি যশবন্ত বর্মাও এই বিষয়ে কোনও যথাযথ তথ্য দিতে পারেননি তদন্তকারী আধিকারিকদের।