সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সংখ্যালঘুদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বড়সড় দুর্নীতির হদিশ পেল মোদি সরকার। জানা গিয়েছে, দেশজুড়ে ১৫৭২টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৮৩০টিই ভুয়ো, যাদের জন্য নিয়মিত স্কলারশিপ যেত সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রক (Minority Affairs Ministry) থেকে। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন ও ব্যাংকগুলির আঁতাত ছিল। গত পাঁচ বছরে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে অন্তত ১৪৪ কোটি টাকা স্কলারশিপ (Minority Scholarship) দেওয়া হয়েছিল। আপাতত এই দুর্নীতির তদন্তভার দেওয়া হয়েছে সিবিআইকে।
বেশ কিছুদিন আগে প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্য স্কলারশিপ বন্ধ করে দেয় সংখ্যালঘু মন্ত্রক। এই পদক্ষেপের ফলে তীব্র প্রতিবাদ হবে বলে অনুমান ছিল সরকারের। কিন্তু সেরকম কিছুই ঘটেনি। তারপরেই ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ অ্যাপ্লায়েড ইকোনমিক রিসার্চ (NCAER) একটি সমীক্ষা চালায়। সেখানেই প্রকাশ্যে আসে এই চাঞ্চল্যকর পরিসংখ্যান। ন্যাশনাল স্কলারশিপ পোর্টালে নথিভুক্ত হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে ৮৩০টিই ভুয়ো বা বর্তমানে বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: আবারও স্বপ্নভঙ্গ ইংল্যান্ডের, অধিনায়িকার একমাত্র গোলে প্রথমবার বিশ্বচ্য়াম্পিয়ন স্পেন]
আরও জানা গিয়েছে, ২০১৭ সাল থেকে শুরু করে ২০২২ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছর ধরে অন্তত ১৪৪ কোটি টাকা স্কলারশিপ দেওয়া হয়েছে এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিকে। বছরের পর বছর জেলা আধিকারিকরাও এই প্রতিষ্ঠানগুলি সম্পর্কে স্বচ্ছ রিপোর্ট জমা দিয়েছেন সরকারের কাছে। প্রাথমিকভাবে অনুমান, সংশ্লিষ্ট জেলার প্রশাসনিক আধিকারিকদের মদতেই এই বিশাল দুর্নীতির কাজ চলত। প্রতিষ্ঠানের আধিকারিকদের সঙ্গে জোট ছিল স্থানীয় প্রশাসনের। দুর্নীতিতে মদত ছিল স্থানীয় ব্যাংকেরও, এমনটাই অনুমান তদন্তকারীদের।
আপাতত ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দেওয়া হয়েছে। NCAERএর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গের ৩৯ শতাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে এই ভুয়োর তালিকায়। এছাড়াও কেরল, ছত্তিশগড়ের মতো রাজ্যেও রয়েছে এমন ভুয়ো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বিশাল অঙ্কের এই দুর্নীতির তদন্তভার দেওয়া হয়েছে সিবিআইকে (CBI)। পাশাপাশি সমীক্ষা চালাচ্ছে NCAERও।