বিশেষ প্রতিনিধি, আগরতলা: ত্রিপুরায় (Tripura) দু’দিনের ঝটিকা সফর সারলেন বিজেপির (BJP) তিন কেন্দ্রীয় নেতা। বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের সঙ্গে। এ রাজ্যের সাংসদ, বিধায়ক এমনকী বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের সঙ্গেও আলোচনা সারলেন তাঁরা। কথা বললেন জোট শরিক ইন্ডিজিনিয়াস পিপলস ফ্রন্ট অফ ত্রিপুরা বা আইপিএফটির (IPFT) নেতাদের সঙ্গেও। গেরুয়া শিবিরের অন্দরের খবর, এই সফরে সংগঠন গোছানোর কাজ সারলেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে তাঁদের এই সফর যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
বুধবারই উত্তর-পূর্ব ভারতের এই রাজ্যে সফরে আসেন বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বি এল সন্তোষ, গেরুয়া শিবিরের উত্তর-পূর্ব ভারতের সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অজয় জামওয়াল এবং ত্রিপুরার পর্যবেক্ষক বিনোদ সরকার। এদিনই দফায় দফায় বৈঠক করেন তাঁরা। তাৎপর্যপূর্ণভাবে বিপ্লব দেবের বিরোধী মুখ সুদীপ রায় বর্মন ও বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠক করেন তাঁরা। ওই বৈঠকে বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠী রাজ্যে বিজেপির সাংগঠনিক দুর্বলতা নিয়ে একাধিক তথ্য তুলে ধরে বলে সূত্রের খবর। কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব মনোযোগ দিয়ে সেই সমস্ত অভিযোগের কথা শোনেন। দিল্লি গিয়ে সেই সমস্ত তথ্য শীর্ষ নেতৃত্বকে জানাবেন বলেও জানিয়েছেন এই তিন নেতা। কিন্তু আচমকাই বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের ত্রিপুরা সফর কেন, উঠছে প্রশ্ন। বাংলার ভোটের ফলাফলের জন্যই এই সফর বলে মনে করা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: আম্বানির বাড়ির সামনে বোমা রাখার মামলায় গ্রেপ্তার এনকাউন্টার স্পেশ্যালিস্ট প্রদীপ শর্মা]
বাংলার বিধানসভা ভোটের পর থেকেই জাতীয়স্তরের রাজনীতিতে নিজেদের গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে করতে ঝাঁপিয়েছে তৃণমূল। সূত্রের খবর, তাঁদের প্রথম লক্ষ্য ত্রিপুরায় নতুন করে সংগঠন তৈরি করা। সেই কাজের ভার পেতে পারেন সদ্য বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফেরা মুকুল রায়। এদিকে একসময় এই মুকুল রায়ের হাত ধরেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন সুদীপ রায় বর্মন ও আর কয়েকজন। তাঁরা অনেকেই বিজেপির টিকিটে বিধায়ক হয়েছেন। বাংলায় মুকুলের ‘ঘর ওয়াপসি’র পর ত্রিপুরার সুদীপ রায় বর্মনের বিজেপি ত্যাগের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। তবে তিনি একা নন, তাঁর সঙ্গে বিজেপি ছাড়তে পারেন আরও কয়েকজন বিধায়ক। এমন জল্পনাও রয়েছে।
রাজনৈতিক মহলের ধারণা, সেই বিক্ষুব্ধদের সামাল দিয়ে ২০২৪-এর আগে ঘর গোছাতেই ত্রিপুরায় ঝটিকা সফর সারলেন তিন বিজেপি নেতা। তবে সে কথা মানতে রাজি নয় বিজেপি নেতৃত্ব। এ প্রসঙ্গে ত্রিপুরার বিজেপি মুখপাত্র নব্যেন্দু ভট্টাচার্য বলেন, “রুটিন বৈঠক। দলীয় সংগঠনকে আরও মজবুত করার বিষয়ে এদিন আলোচনা হয়। দল চায়, অতিমারী পরিস্থিতিতে দলীয় নেতা-কর্মী, জন প্রতিনিধিরা যেন আরও বেশি করে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে যায়। এ সংক্রান্ত নির্দেশ দিয়েছে দল।”