সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উপত্যকার বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন জম্মু কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্টকে (JKPL) আরও ৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক (Home Ministry)। পাশাপাশি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে এই সংগঠনের অধীনে থাকা আরও ৪ সংগঠনকে। শনিবার এক্স হ্যান্ডেলে এই তথ্য প্রকাশ্যে আনেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। জানা গিয়েছে, উপত্যকায় সন্ত্রাস ছড়ানোর অভিযোগেই বিচ্ছিন্নতাবাদী এই সংগঠনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করেছে মোদি সরকার।
এদিন এক্স হ্যান্ডেলে অমিত শাহ লেখেন, ‘মোদি সরকার জম্মু কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্টকে আগামী ৫ বছরের জন্য বেআইনি ঘোষণা করেছে। এই সংগঠন উপত্যকায় সন্ত্রাসবাদ ও বিচ্ছিন্নতাবাদকে উৎসাহ দেয়। কেউ যদি দেশের সুরক্ষা, সার্বভৌমত্ব এবং অখণ্ডতাকে নষ্ট করার চেষ্টা করে, তবে তাকে কঠোর আইনি পদক্ষেপের মুখোমুখি হতে হবে।’
[আরও পড়ুন: ভোটের মুখে ফের ধাক্কা বিজেপির, দলত্যাগ মধ্যপ্রদেশের সাংসদের, যোগ দিতে পারেন কংগ্রেসে]
পাশাপাশি অমিত শাহ আরও লেখেন, ‘সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছে মোদি সরকার। সেই লক্ষ্যেই জম্মু কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্টের অধীনে থাকা আরও ৪ সংগঠনকেও নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এই সংগঠনগুলির হল জেকেপিএল (আজিজ শেখ), জেকেপিএল (মুখতার আহমেদ ওয়াজা), জেকেপিএল (গুলাম মোহাম্মদ খান) এবং জেকেপিএল (বশির আহমেদ তোতা)। এদের বিরুদ্ধেও সন্ত্রাসবাদকে মদত দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।’
জেকেপিএল প্রধান ইয়াসিন মালিক জম্মু কাশ্মীরের শ্রীনগরের বাসিন্দা। উপত্যকায় সন্ত্রাস ছড়ানো ও সন্ত্রাসে মদতের অপরাধে ২০২২ সালে তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় দিল্লির বিশেষ এনআইএ আদালত। এছাড়াও ইয়াসিনের বিরুদ্ধে ৪ বায়ুসেনা জওয়ানকে হত্যা সহ একাধিক গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। উপত্যকায় বহু সন্ত্রাস ও ১৯৯০ সালে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের বাড়িছাড়া করার ঘটনাতেও অভিযুক্ত এই ব্যক্তি।
[আরও পড়ুন: ‘নির্বাচনী বন্ড পদ্ধতি খারিজ না করে…’, সুপ্রিম রায় প্রসঙ্গে অমিত শাহ]
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের মার্চ মাসে সন্ত্রাস দমন আইনে ৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল ইয়াসিন মালিকের সংগঠনকে। চলতি বছরের মার্চ মাসে শেষ হচ্ছে এই সংগঠনে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ। তার আগেই ৫ বছরের জন্য ফের নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হল জম্মু কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্টকে।