সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একজন চাওয়ালার দেশের প্রধানমন্ত্রী পদে বসার নজির আগেই দেখেছে দেশ। এবার এক চা বিক্রেতাকে মেয়র হতে দেখল ছত্তিশগড়। নির্বাচনী লড়াইয়ে কংগ্রেসকে 'নাকের জলে, চোখের জলে' করে রায়গড় শহরের মেয়র হলেন বিজেপি নেতা জীবর্ধন চৌহান। তাঁর এই সাফল্য এখন মুখে মুখে ফিরছে। শূন্য থেকে শুরু করে শীর্ষে উঠে চৌহান হয়ে উঠেছেন নয়া অনুপ্রেরণা।
২০২৩ সালে বিধানসভা নির্বাচনের পর ছত্তিশগড়ের রং এখন গেরুয়া। তার প্রভাব পড়েছে রাজ্যের বাকি নির্বাচনগুলিতেও। গত জানুয়ারি মাসে রায়গড়ে শুরু হয়েছিল পুরসভা নির্বাচনে তোড়জোড়। মেয়র পদে লড়াইয়ের জন্য বিজেপি বেছে নেয় জীবর্ধন চৌহানকে। প্রায় তিন দশক ধরে বিজেপির একেবারে তৃণমূলস্তর থেকে কাজ করে আসা নেতাকে মেয়র পদের জন্য বেছে নেওয়ায় সমালোচনা কম হয়নি। তবে শেষ পর্যন্ত তাঁর নামেই পড়ে চূড়ান্ত সিলমোহর। অবশেষে সেই নির্বাচনে জয়ের পর রায়গড়ের মেয়র পদে বসতে চলেছেন তিনি। এই ঘটনার পর স্থানীয় বিধায়ক ওপি চৌধুরী বলেন, 'এই জয় ঐতিহাসিক জয়।'
জয়ের পর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে চৌহান বলেন, "যেদিন আমি খবর পেয়েছিলাম একজন চাওয়ালাকে মেয়র পদের জন্য মনোনীত করা হয়েছে, সেদিন বিশ্বাস করতে পারিনি। দীর্ঘ বছর ধরে আমি সংঘের সঙ্গে যুক্ত। অবশেষে এই সাফল্যে আমার অত্যন্ত আনন্দিত। আমি সংঘ, বিজেপি ও বিধায়ক ওপি সিংকে ধন্যবাদ জানাই, যারা আমার মতো একজন গরিব মানুষকে এই পদের যোগ্য বলে মনে করেছেন ও আমায় লড়াইয়ের সুযোগ দিয়েছেন।"
১৯৭৯ সালের ৬ জানুয়ারি জন্ম চৌহানের। শুরু থেকে সংঘের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। সংঘের কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার পাশাপাশি ঠেলায় চা ও পান বিক্রি করতেন। ১৯৯৬ সালে প্রাক্তন জেলা সভাপতি উমেশ আগরওয়ালের হাত ধরে বিজেপিতে সক্রিয় রাজনীতিতে নামেন। এরপর ১৯৯৮ সালে ওয়ার্ডের সভাপতি, ২০০৪ সালে যুবমোর্চার গুরুত্বপূর্ণ পদ পান। এরপর থেকে ধাপে ধাপে বিজেপি দলে উপরের সারিতে উঠে এসেছেন এই নেতা। ২০১৯ ও ২০২৪ সালের লোকসভা, বিধানসভা ও পুরসভা নির্বাচনে নিজের অঞ্চলে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হয় তাঁকে। তবে দলের সমস্ত দায়িত্ব সেরে নিয়ম করে নিজের পেশা চা বিক্রি চালিয়ে গিয়েছেন এই বিজেপি নেতা। আগে যা ঠেলা গাড়িতে করে বিক্রি করতেন, বর্তমানে তাঁর নিজের একটি দোকান রয়েছে।
