সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: ৩৭০ ইস্যুতে তুলকালাম জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভা (Jammu & Kashmir Assembly)। নবগঠিত বিধানসভায় বেনজির হাতাহাতি শাসক ও বিরোধী শিবিরের বিধায়কদের। বাধ্য হয়ে বিধানসভা চত্বরে প্রবেশ করতে হল নিরাপত্তারক্ষীদের। অধিবেশন মুলতুবি করে দিলেন স্পিকার।
বৃহস্পতিবার কাশ্মীর বিধানসভায় ৩৭০ ধারা বিলুপ্তির প্রতিবাদে একটি ব্যানার নিয়ে হাজির হন বারামুলার সাংসদ তথা আওয়ামি ইত্তিহাদ পার্টির প্রধান ইঞ্জিনিয়ার রশিদের ভাই খুরশিদ আহমেদ শেখ। ওই ব্যানারে দুটি দাবি লেখা ছিল। ৩৭০ ধারা পুনর্বহাল করতে হবে এবং রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তি দিতে হবে। সঙ্গে সঙ্গে খুরশিদ আহমেদ শেখের ওই ব্যানার প্রদর্শনে আপত্তি জানায় বিজেপি। কাশ্মীর বিধানসভার বিরোধী দলনেতা সুনীল শর্মা ওই ব্যানারে প্রবল আপত্তি জানান। কিন্তু খুরশিদ আহমেদ ব্যানার সরাতে রাজি হননি। শেষমেশ দুই শিবিরের বিবাদ শুরু হয়ে যায়। বিবাদ গড়ায় হাতাহাতিতে। ওয়েলে নেমে আসেন বিজেপি বিধায়করা। নেমে আসেন নির্দল এবং আওয়ামি ইত্তিহাদ পার্টির বিধায়করা। রীতিমতো মারামারি শুরু হয়ে যায়। শেষে নিরাপত্তারক্ষীদের তলব করতে হয়। অধিবেশন মুলতুবি করে দিতে হয়।
উল্লেখ্য, বুধবারই বিশেষ মর্যাদা ফেরানোর দাবিতে একটি প্রস্তাব পাশ করিয়েছে কাশ্মীর বিধানসভা। উপত্যকায় বিশেষ মর্যাদা ফেরানো নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনা শুরু হোক। এই মর্মে প্রস্তাব পাশ করায় ওমর আবদুল্লার সরকার। বিজেপির প্রবল বিরোধিতা সত্ত্বেও প্রস্তাব পাশ হয়ে গিয়েছে কাশ্মীর বিধানসভায়। ওই প্রস্তাবে বলা হয়, জাতীয় সংহতির কথা মাথায় রেখে এবং একই সঙ্গে কাশ্মীরবাসীর স্বার্থ অক্ষুন্ন রাখতে এই নিয়ে আলোচনার প্রয়োজন।
বুধবারও বিজেপি ওই প্রস্তাবের প্রবল বিরোধিতা করে। প্রস্তাবটি পেশ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিজেপির বিধায়করা বিক্ষোভ দেখানো শুরু করেন। এই প্রস্তাবের কপিটি ছিঁড়ে ফেলেন বিজেপি সদস্যরা। গেরুয়া শিবিরের দাবি, এই আইন ভারতীয় গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় মন্দির, সংসদে পাশ হয়েছে। এটা বাতিলের প্রশ্নই ওঠে না। এদিনও একইভাবে বিধানসভায় ৩৭০ ধারা নিয়েই হট্টগোল করলেন বিজেপি বিধায়করা।