সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শীতে জবুথবু লাদাখে (Ladakh) তাপমাত্রা নেমেছে হিমাঙ্কের নিচে। তবু কমার নাম নেই ভারত-চিন সম্পর্কের শৈত্য। মাসখানেক আগে শেষবার কথা হয়েছে দু’দেশের মধ্যে। কিন্তু গত মে মাস থেকে চলতে থাকা পরিস্থিতির বিশেষ উন্নতি হয়নি। বরং গত ন’মাস ধরেই আকসাই চিনে একের পর এক নির্মাণ করে চলেছে লালফৌজ। উপগ্রহ থেকে তোলা ছবিতে স্পষ্ট, ভারতীয় সীমান্তের গা ঘেঁষে তিব্বত ও পূর্ব তুর্কিস্তানে সেনা বাড়াচ্ছে চিন। সেই সঙ্গে সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে, আকসাই চিনে একটি হেলিপোর্টও তৈরি করছে তারা। মাটির নিচে নির্মাণ করছে শক্তিশালী সামরিক ঘাঁটি।
প্রসঙ্গত, আকসাই চিন (Aksai Chin) ইস্যুতে শুরু থেকেই ভারত সরকারের অবস্থান স্পষ্ট। ওই ভূখণ্ড ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ বলেই মনে করে নয়াদিল্লি। এবার সেখানেই একটি হেলিপোর্ট প্রায় তৈরি করে ফেলেছে লালফৌজ। ১৬ হাজার ৭০০ ফুট উঁচুতে অবস্থিত ওই হেলিপোর্টটি নিয়ন্ত্রণরেখার খুবই কাছে। ভারতের দৌলতবাগ ওল্ডি বিমানঘাঁটির একদম বিপরীতেই তার অবস্থান।
[আরও পড়ুন: পঞ্চায়েতের হাওয়া টিকল না পুরভোটে! রাজস্থানে জোর ধাক্কা বিজেপির]
আসলে ওই অঞ্চলেই রয়েছে ডার্বুক-শেয়ক-ডিবিও রোড। নিয়ন্ত্রণরেখার সমান্তরালে অবস্থিত ওই সড়ক ভারতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ২৫৫ কিমি দীর্ঘ ওই রাস্তা এবং ওই বিমানঘাঁটি বরাবরই চিনের মাথাব্যথার কারণ। এবার সেই কারণেই ভারতকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে তার কাছেই এই হেলিপোর্ট বানিয়েছে তারা। গত বছরের অক্টোবর থেকেই হেলিপোর্ট নির্মাণের প্রস্তুতি শুরু হলেও তা আরম্ভ হয় গত এপ্রিল থেকেই। যার ক’দিন পর থেকেই লাদাখে চিনা আগ্রাসন শুরু হয়। lতবে ১ হাজার মিটার লম্বা ওই হেলিপোর্টের ৭০০ মিটারের কাজ শেষ হয়েছে। সম্ভবত শীত শুরু হয়ে যাওয়াতেই কাজ এখনও শেষ হয়নি।
এখানেই শেষ নয়। উপগ্রহ থেকে তোলা ছবিতে এও দেখা গিয়েছে, ওই অঞ্চলে মাটির তলায় ঘাঁটি নির্মাণ শুরু হয়েছে গত আগস্টে। রীতিমতো পরিকল্পনা করে মাটির তলায় ওই মজবুত ঘাঁটি তৈরি করছে চিন। যা থেকে স্পষ্ট, অধিকৃত পূর্ব লাদাখ থেকে বড়সড় যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা।
[আরও পড়ুন: প্রতিষ্ঠান খুলতেই হু হু করে বাড়ল করোনা সংক্রমণ, এক সপ্তাহের মধ্যে ফের বন্ধ IIT-মাদ্রাজ]
প্রসঙ্গত, ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর ক’দিন আগেই বলেন, “বিগত ৩০ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে বর্তমানে চিনের সঙ্গে সম্পর্কের সবচেয়ে খারাপ পর্ব চলছে। লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর হাজার হাজার সেনা মোতায়েন করেছে চিন। তারা যুদ্ধের জন্য তৈরি হয়েই এসেছে।” প্রসঙ্গত, পূর্ব লাদাখের ফরোয়ার্ড পোস্টগুলির খুব কাছে গোপন অস্ত্রভাণ্ডার তৈরি করে রেখেছে ভারতীয় সেনা। চিনের বিরুদ্ধে যে কোনও সময় বড় সংঘাত হতে পারে ধরে নিয়েই অস্ত্র মজুত করা হচ্ছে সেখানে।