shono
Advertisement

বড়দিনের রাতে গির্জায় ঢুকে যিশুর মূর্তি ভাঙচুর, এখনও অধরা দুষ্কৃতী

সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
Posted: 06:23 PM Dec 26, 2021Updated: 07:27 PM Dec 26, 2021

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বড়দিনের (Christmas) আগে ধর্মাচরণ নিয়ে ফতোয়া জারি করেছিল কট্টর হিন্দুত্ববাদীরা। আঁচ এসেছিল এরাজ্যেও। নদিয়ার কৃষ্ণনগরের (Krishnagar) একাধিক জায়গায় পোস্টার দেখা গিয়েছিল, ‘হিন্দুদের ধর্মপালন চার্চে নয়, মন্দিরে। স্বধর্ম পালন করুন।’ এবার বড়দিনের রাতে হরিয়ানার (Haryana) একটি চার্চে যিশু খ্রিস্টের মূর্তি ভাঙচুরের (Vandalism) ঘটনা প্রকাশ্যে এল।

Advertisement

হরিয়ানার আম্বালা (Ambala) ক্যান্টনমেন্টের হোলি রিডিমার চার্চে শনিবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটে। রাত সাড়ে বারোটা নাগাদ দুই ব্যক্তি ওই চার্চে পাঁচিল ডিঙিয়ে ঢোকে। এরপর রাত ১ বেজে ৪০ মিনিট নাগাদ যিশু খ্রিস্টের মূর্তিতে ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ। এখনও অবধি ঘটনায় জড়িত দুই দুষ্কৃতীকে চিহ্নিত করা যায়নি বলেই জানিয়েছে পুলিশ। তবে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে তদন্ত শুরু হয়েছে। আম্বালা সদর পুলিশ প্রধান নরেশ জানিয়েছেন, “ঘটনায় একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে, দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।”

[আরও পড়ুন: বড়দিনে সেলফি তুলতে গিয়ে বিপত্তি, চার্চের জ্বলন্ত মোমবাতি থেকে আগুন তরুণীর চুলে]

সাম্প্রতিককালে একাধিক রাজ্যে চার্চে হামলার ঘটনা ঘটেছে। ক্রিসমাস উৎসবেও হামলার ঘটনা ঘটতে দেখা গিয়েছে। তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে কর্ণাটকে। সেখানকার চার্চগুলির বিরুদ্ধে শাসক দল বিজেপির অভিযোগ, রাজ্যের চার্চগুলি জোর করে ধর্মান্তকরণ করছে। এই বিষয়ে বিলও আনতে চলেছে রাজ্য সরকার।

প্রসঙ্গত, বড়দিনের প্রাকমুহূর্তে পঞ্জাবের একাধিক জায়গায় ক্রিসমাস উৎসবে তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ ওঠে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের উপরে। গুরুগ্রামের বিভিন্ন জায়গায় বড়দিনের অনুষ্ঠান বানচাল করে দেওয়া হয়। বড়দিনের আগেভাগে অসমে হুমকি দিয়েছিল বরজরং দল। ২৫ ডিসেম্বর চার্চে গেলে কিংবা ক্রিসমাসের অনুষ্ঠানে যোগ দিলে বেধড়ক মারধর করা হবে। সেই সময় ডানপন্থী সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, বড়দিন উপলক্ষে মেঘালয়ের শিলংয়ে হিন্দুদের উপাসনা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তারই ‘বদলা’ নিতে অসম এই ফতোয়া জারি করল তাঁরা।

[আরও পড়ুন: হিন্দুরা চার্চে যাবেন না, বড়দিনের আগে ধর্মাচরণ নিয়ে বিতর্কিত পোস্টার বজরং দলের]

গুয়াহাটির বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মিঠু নাথের অভিযোগ করেন, “ওঁরা আমাদের পুজো-অর্চনার স্থান অনায়াসে বন্ধ করে দিতে পারে। অথচ আমরা যদি এখানে ওরিয়েন্টাল স্কুল ভাঙচুর করি, পরের দিনই সংবাদপত্রে শিরোনাম করা হবে, গুন্ডারা স্কুলে ভাঙচুর করেছে। এটা আমরা করতে চাই না। তাই এবার হিন্দুদের ওঁদের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দেব না।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement