সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রথমবার মুখ্যমন্ত্রী পদে বসেই বড়সড় সিদ্ধান্ত নিলেন মোহন যাদব (Mohan Yadav)। দায়িত্ব নেওয়ার পরেই তাঁর প্রথম সিদ্ধান্ত, ধর্মীয় স্থান থেকে লাউডস্পিকার নিষিদ্ধ করতে হবে। বুধবারই মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়েছেন মোহন। তার পরেই সংঘঘনিষ্ঠ নেতার এই সিদ্ধান্ত। উল্লেখ্য, মসজিদ ও অন্যান্য ধর্মস্থানে লাউডস্পিকার বাজানো নিয়ে একাধিকবার বিতর্ক হয়েছে গোটা দেশে। এই মর্মে এলাহাবাদ হাই কোর্ট জানায়, মসজিদে লাউডস্পিকার বাজানো কারোওর মৌলিক অধিকার নয়।
বুধবার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন মোহন। তার পরেই লাউডস্পিকার সংক্রান্ত নতুন নির্দেশিকা মেলে মধ্যপ্রদেশ সরকারের তরফে। সেখানে বলা হয়েছে, নিয়ম বহির্ভূতভাবে ভাবে বা লাগামছাড়া ভাবে লাউডস্পিকার বাজালে সেটা নিষিদ্ধ করতে হবে। তবে নিয়ম মেনে মাইক বাজানোয় নিষেধাজ্ঞা নেই। নির্দিষ্ট ডেসিবেলের মধ্যে নির্দিষ্ট সময়ে মাইক বাজানোর কথা বলা হয়েছে সরকারি নির্দেশে। লাউডস্পিকার বাজানো নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের কথাও মনে করিয়ে দিয়েছে মধ্যপ্রদেশ সরকার।
[আরও পড়ুন: কেমন নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকে সংসদে? তাণ্ডবের পর আসছে কোন বদল]
তবে সংঘঘনিষ্ঠ নেতার এই সিদ্ধান্ত নিয়ে বেশ জল্পনা শুরু হয়েছে বিশেষজ্ঞমহলে। গত বছর যোগী আদিত্যনাথের সরকার জানায়, মন্দির, মসজিদে লাউডস্পিকারের শব্দ যেন বাইরে না আসে। মন্দির, মসজিদের প্রার্থনার শব্দ তার ভিতরেই সীমাবদ্ধ থাকা কাম্য। মুখ্যমন্ত্রী একথা বলার পরই রাজ্যে মন্দির, মসজিদ মিলিয়ে ১৭ হাজার ধর্মস্থানে লাউডস্পিকারের শব্দের মাত্রা কমিয়ে অনুমোদিত সীমার মধ্যে বেঁধে রাখা হয়। বিজেপি হাইকমান্ডের নির্দেশেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মোহন, এমনটাও অনুমান বিশেষজ্ঞদের।
উল্লেখ্য, একাধিক হেভিওয়েট নেতাকে টপকে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে বেছে নেওয়া হয় মোহন যাদবকে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের বক্তব্য, অন্যতম কারণ জাতপাতের রাজনীতির সমীকরণ। ওবিসি মুখ মোহনকে ভেবেচিন্তেই মুখ্যমন্ত্রী করা হয়েছে গোবলয়ের এই রাজ্যে। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির জয় নিশ্চিত করতেই এই সিদ্ধান্ত, এমনটাই মত ওয়াকিবহাল মহলের।