হেমন্ত মৈথিল, লখনউ: ভারত কখনও অকারণে অন্য দেশের বিষয়ে নাক গলায় না। কিন্তু এদেশের অভ্যন্তরীণ কিংবা নাগরিক নিরাপত্তাকে বিপন্ন করতে চাইলে নতুন ভারত পূর্ণশক্তিতে প্রত্যাঘাত করতে পারে। অপারেশন সিঁদুর আবহে এভাবেই গর্জে উঠলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। জানিয়ে দিলেন, সেক্ষেত্রে শত্রুর ডেরায় ঢুকতেও পিছপা হবে না নয়াদিল্লি।
একটি অনুষ্ঠানে এদিন যোগ দিয়েছিলেন যোগী। আর সেখানেই সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে একেবারে আগুনে মেজাজে দেখা গেল তাঁকে। তিনি বললেন, ''অপারেশন সিঁদুর উন্নত ভারতের শক্তির যথাযথ প্রতিফলনকে তুলে ধরেছে। ভারত কখনওই কোনও দেশের বিষয়ে মাথা ঘামায় না। কিন্তু কেউ যদি এদেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা কিংবা নাগরিক নিরাপত্তাকে বিপন্ন করতে চায়, নতুন ভারত পূর্ণ উদ্যম ও শক্তিতে প্রত্যাঘাত করতে জানে। দরকার পড়লে শত্রুর ডেরাতেও পা রাখতে জানি আমরা। কাল গোটা বিশ্ব আমাদের শক্তি দেখেছে। ভবিষ্যতেও দেখবে।''
ভারতের হাতে সপাটে চড় খাওয়ার পর গতকাল দিনভর পাকিস্তানের দ্বিচারিতা দেখেছে বিশ্ব। প্রথমে জানা গিয়েছিল, ভারতে পালটা প্রত্যাঘাত করতে সেনা বাহিনীকে ‘পূর্ণ স্বাধীনতা’ দিয়েছে পাকিস্তান। কিন্তু পরে ইসলামাবাদ জানায়, ভারত আর হামলা না চালায় তাহলে পাকিস্তান কোনও দায়িত্বজ্ঞানহীন পদক্ষেপ করবে না। কিন্তু তা সত্ত্বেও উত্তেজনা কমেনি নিয়ন্ত্রণরেখায়। সাধারণ ভারতীয়দের টার্গেট করে সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন করে লাগাতার গুলি ছুড়ছে পাক সেনা। সব মিলিয়ে অপারেশন সিঁদুরের পর ক্রমশ বাড়ছে ভারত-পাকিস্তানের সংঘাত। বুধবার রাতে ভারতের সীমান্তবর্তী ১৫টি শহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার চেষ্টা চালিয়েছে পাকিস্তান। তবে ভারতীয় সেনার তৎপরতায় ব্যর্থ পাক হানার চেষ্টা। প্রত্যাঘাতে লাহোরের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম গুঁড়িয়ে দিয়েছে সেনা। ভারতীয় সেনার বিবৃতির পরে বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সরাসরি যুদ্ধ হয়তো সময়ের অপেক্ষা। এই পরিস্থিতিতে এভাবেই গর্জে উঠতে দেখা গেল যোগী আদিত্যনাথকে।
