সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: শিক্ষাকর্মী নিয়োগে কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশকে আপাতত মুলতুবি রাখল সুপ্রিম কোর্ট। কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশকে আপাতত 'কেপ্ট ইন অ্যাবিয়েন্স' করল সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জয় কুমার এবং বিচারপতি অলোক আরাধের ডিভিশন বেঞ্চ। আদালতের পর্যবেক্ষণ, প্রত্যেকটি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হলফনামা যাচাই করে বিচার করতে হবে। এভাবে অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশ দিলে সাধারণের মধ্যে দ্বিধাদ্বন্দ্ব তৈরি হতে পারে।
সুপ্রিম কোর্টের এক কলমের আঁচড়ে বাতিল হয়ে যায় এসএসসি নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশের ২৬ হাজারের চাকরি। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পাশাপাশি চাকরি হারান শিক্ষাকর্মীরাও। আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত তাঁরা কাজ করতে পারবেন বলেই প্রথমে জানায় সুপ্রিম কোর্ট। ইতিমধ্যে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা নির্দেশ দেন গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি-র দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত নন এমন প্রার্থীরা বয়সে ছাড় দিতে হবে। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় কমিশন।
বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জয় কুমার এবং বিচারপতি অলোক আরাধের ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানি হয়। শুনানিতে নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশ চাকরিজীবীদের কার্যকালের মেয়াদ বাড়িয়ে দেয়। ৩১ ডিসেম্বরের বদলে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত তাঁরা কাজ করতে পারবেন বলে জানায় আদালত। ওই শুনানিতেই সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, আপাতত হাই কোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশ আপাতত কার্যকর হবে না। প্রত্যেকটি আবেদনের ভিত্তিতে হলফনামা যাচাই করে বিচার করতে হবে। কোনওভাবে অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশ দেওয়া যাবে না। তাতে জনমানসে দ্বিধাদ্বন্দ্ব তৈরি হবে বলেই পর্যবেক্ষণ সর্বোচ্চ আদালতের। এই প্রসঙ্গে আইনজীবী তথা বর্ষীয়ান সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "বিচারপতি অমৃতা সিনহা সকলকে বয়সে ছাড় দেওয়ার কথা বলেছিলেন। তা সুপ্রিম কোর্ট খারিজ করে দিয়েছে। যাচ্ছে, বলছে আর অর্ডার পাশ হচ্ছে, এটা হবে না। হলফনামা দিতে বলেছে শীর্ষ আদালত।"
